নিজস্ব প্রতিবেদক ও চারঘাট প্রতিনিধি:
জমির নামজারিতে (খারিজ) প্রকাশ্যে ঘুষ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার নামে করা হয়েছে বিভাগীয় মামলা। শনিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব মুহাম্মদ শরিফুল হক সোনার দেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এসময় তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতি ও ঘুষের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। তাই দুর্নীতি ও ঘুষের ব্যাপারে কোনো ধরনের আপোষ করা হবে না। ওই কর্মকর্তার ঘুষ নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে ঘটনাটি আমরা জানতে পারি। এরপর সকালে ওই ভিডিও দেখে এবং অভিযোগ তদন্ত করা হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসক মহোদয় সরদহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। পাশপাপাশি তার নামে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে ওই কর্মকর্তার স্থলে অন্য কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, এর আগে শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার সরদহ ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার নামজারি করার জন্য এক জমির মালিকের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ নেন। রাতেই এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এরপরই ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয় স্থানীয় প্রশাসন ও সচেতন মহলে।
ছড়িয়ে পড়া সেই ভিডিওতে দেখা যায়, সেবা গ্রহিতা সরদহ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে গেলে ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার ওই সেবাগ্রহীতার সঙ্গে ঘুষ বাণিজ্য নিয়ে দর কষাকষি করছেন। সেবাগ্রহিতা ভূমি কর্মকর্তার চাহিদা মোতাবেক দাবিকৃত ১০০০ টাকা থেকে মাত্র ১০০ টাকা কম দিয়ে ৯০০ টাকা দিতে চাইলে সেবা গ্রহিতার কাজে অনীহা প্রকাশ করেন। পরে সেবাগ্রহিতা বাধ্য হয়ে ভূমি কর্মকর্তার দাবিকৃত ১০০০ টাকার পূরণ করলে কাজ শুরু করেন। অপর একটি ভিডিওতে একজন সেবাগ্রহিতার কাছ থেকে নির্ধারিত টাকার অধিক ৫শ টাকা মিষ্টি খাবার জন্য ঘুষ দাবি করছে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার। এ টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ভূমি কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার তাকে বিভিন্ন ভাবে চাপে ফেলেন এবং টাকা দিতে বাধ্য করেন।