জিম্মি জাহাজে নাবিকদের থাকতে দেয়া হচ্ছে নিজ নিজ কেবিনে

আপডেট: মার্চ ৩০, ২০২৪, ৩:৫৭ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


সোমালিয়ার জলদস্যুরদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র নাবিকদের সঙ্গে আচরণে পরিবর্তন এনেছে দস্যুরা। নাবিকদের এখন নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দেওয়া হচ্ছে। খাবার ফুড়িয়ে যাওয়ার যে শঙ্কা ছিল, সেটিও কেটে গেছে। নাবিকদের খাবারে ভাগ বসানো বন্ধ করে এখন উপকূল থেকে ছাগল-দুম্বা নিয়ে আসছে দস্যুরা। যেখান থেকে নাবিকদেরও খাওয়ানো হচ্ছে। তবে বিশুদ্ধ পানির সংকট এখনও কাটেনি। পানি ব্যবহার করতে হচ্ছে রেশনিং করে।

সমুদ্রগামী বাণিজ্যিক জাহাজের ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খানের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন। জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর কেটে গেছে ১৯ দিন, এরই মধ্যে জাহাজের মালিকপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দস্যুরা। এমনকি দস্যুদের সঙ্গে মালিকপক্ষের সমঝোতার আলোচনাও এগিয়েছে। এরপরই জলদস্যুরা জিম্মি নাবিকদের সঙ্গে আচরণে পরিবর্তন এনেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জলদস্যুরা মুক্তিপণ নিয়ে সন্তুষ্ট হয়ে বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে নাবিকদের কেবিনে থাকার পাশাপাশি কাজ করার সুযোগ দিয়েছে।
এ প্রসঙ্গে কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। তাদের প্রতি দস্যুরা কোনও খারাপ আচরণ করছেন না। নাবিকদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। ঈদের আগে যাতে জিম্মি নাবিকদের ফিরিয়ে আনা যায় আমরা সে লক্ষ্যে কাজ করছি।”

জাহাজ থেকে পাঠানো অডিওবার্তা ক্যাপ্টেন আতিক ইউ এ খান বলেন, “আবদুল্লাহ জাহাজের নাবিকদের খাবারে ভাগ বসানো বন্ধ করেছে দস্যুরা। এখন উপকূল থেকে দস্যুরা ছাগল-দুম্বা নিয়ে আসছে। এতে খাবার আরও কিছু দিন বেশি যাবে। তবে পানি সংকট আছে। জাহাজে মিঠা পানির যে সরবরাহ আছে তা দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় রেশনিং করে ব্যবহার করা হচ্ছে। কয়েকদিন পর পর মিঠা পানির লাইন চালু করা হয়। তাও আবার ১/২ ঘণ্টার জন্য। বাকি সময়ে খাবারের জন্য মিঠা পানি পাওয়া গেলেও ব্যবহারের জন্য নেওয়া হচ্ছে সমুদ্রের লোনা পানি।”

এদিকে, কবির গ্রুপের অপর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দস্যুদের কবল থেকে নাবিকদের মুক্ত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তারা। জিম্মি দশা থেকে মুক্তির পর ২৩ নাবিককে আকাশ পথে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। জাহাজটিতে নতুন করে ২৩ জনের একটি টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারাই কয়লাভর্তি জাহাজটিকে সোমালিয়া থেকে দুবাই নিয়ে যাবেন। ইতোমধ্যে ওই ২৩ নাবিকের নতুন টিম প্রস্তুত করেছে জাহাজ মালিক।

এসআর শিপিং সূত্র জানিয়েছে, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজে প্রায় ৫৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা আছে। গত ৪ মার্চ আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকের মাপুটো বন্দর থেকে এসব কয়লা নিয়ে যাত্রা শুরু করে জাহাজটি। ১৯ মার্চ সেটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের হামরিয়াহ বন্দরে পৌঁছানোর কথা ছিল। এর মধ্যে ১২ মার্চ দুপুর দেড়টার দিকে ভারত মহাসাগরের জলদস্যুর কবলে পড়ে জাহাজটি।- ঢাকা ট্রিবিউন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version