বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
টানা হারের বৃত্তে থাকা কুমিল্লা জয়ের ধারায় ফিরেছে। ইতোমধ্যে টানা তিন ম্যাচ জিতে পয়েন্ট টেবিলকে জমিয়ে তুলেছে। কাগজে-কলমে এখনো মাশরাফির কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের আশা বেঁচে আছে। তবে সেটি ঝুলে আছে যদি-কিন্তুর সমীকরণে! রোববার রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে জেতার পর নানান সমীকরণ কুমিল্লার সামনে আসবে। মাশরাফি অবশ্য সেইসব নিয়ে একদমই ভাবছেন না। আপাতত জয়ের ধারায় ফিরতে পেরে তিনি খুশি।
গতকাল শুক্রবার খুলনা টাইটানসের বিপক্ষে ৫ উইকেটের জয় পাওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বলেছেন, ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচ জিততে পারায় খেলোয়াড়দের ভালো লাগবে। আগেও বলেছিলাম, টুর্নামেন্টের সেরা হওয়া সবসময়ই কঠিন। পেশাদারিত্ব এমন একটা ব্যাপার যেখানে, আপনি শেষ পর্যন্ত লড়াই করছেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়। আমরা কোথাও ছিলাম না, সেখান থেকে শেষ তিনটা ম্যাচ জেতা আমাদের জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
চট্টগ্রামের পর ঢাকার শেষ পর্বেও হার দিয়ে শুরু হয়েছিল কুমিল্লার। এরপর সর্বশেষ তিন ম্যাচে জয় দেখেছে গত বারের চ্যাম্পিয়নরা। খারাপ অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানো খেলোয়াড়দের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা বলে মনে করছেন মাশরাফি, ‘প্রত্যেক খেলোয়াড়ের ভবিষ্যতের জন্য এটা একটা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে যে- কঠিন সময় থেকে কীভাবে ঘুরে দাঁড়াতে হয়। আমরা জয়ের ধারায় আসতে পেরেছি, এটা খুব ভালো লেগেছে। তারপরে যদি সেরা চারে খেলতে পারি। তখন বলা যাবে যে কিছু একটা হবে…।’
যদিও খুলনার বিপক্ষে আজকের ম্যাচেই রান রেটে এগিয়ে থাকতে চেয়েছিল কুমিল্লা। সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানালেন মাশরাফি, ‘আমরা আজকে ১৫/১৬ ওভারের মধ্যে ম্যাচটা জিততে চেষ্টা করেছিলাম। শেষ ম্যাচে যদি কোনও সুযোগ আসে, তাহলে চেষ্টা করা যাবে। আমরা প্রথম ৬ ওভার ব্যবহার করতে পারিনি, তাই হাতে ওভার রেখে জিততে পারিনি।’
গতকাল শুক্রবার বল হাতে ১৬ রানে তিন উইকেট তুলে নেওয়ার পর ব্যাট হাতে ছোট খাটো এক ঝড় তোলেন মাশরাফি। ১১ বলে তিন ছক্কায় খেলেন ২০ রানের ইনিংস। আগে ব্যাটিংয়ে নামা নিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘মিটিংয়ে বলা হয়েছিল, শেহজাদ, ইমরুল প্রথম থেকেই চড়াও হবে। শুরুতেই শেহজাদ আউট হওয়ায় চাপ চলে আসে। চাপ থাকাতে ওরা শট খেলতে পারেনি। তাই আমি ওই সময় এসে চেষ্টা করেছি।’-বাংলা ট্রিবিউন