‘টাকার বিনিময়ে ঈশ্বরদীতে ট্রেনে আগুন দিয়েছিলেন তারা’

আপডেট: ডিসেম্বর ১, ২০২৩, ৪:৪৭ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি :


টাকার বিনিময়ে পাবনার ঈশ্বরদী জংসন স্টেশনের ওয়াশপিটে অবস্থানরত ট্রেনে আগুন দিয়েছিল বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা। মদতদাতা হিসেবে এ ঘটনার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেন বহরে হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুর আপন দুই ভাই জড়িত।

আটক বিএনপি কর্মী সুমন হোসেন (৩২) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে এমন তথ্য জানিয়েছে পুলিশকে। আগুন দিতে গিয়ে নিজেও দগ্ধ হয়েছিল সুমন। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে প্রেস ব্রিফিঙে পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী এ তথ্য তুলে ধরেন।
এর আগে বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকেলে ঈশ্বরদীর রেলওয়ে হাসপাতালের সামনে থেকে সুমনকে আটক করে পুলিশ। সুমন ঈশ্বরদী পৌরসভার রহিমপুর গার্লস স্কুল মহল্লার তাইজুল ইসলামের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিঙে পুলিশ সুপার বলেন, ২৭ নভেম্বর রাতে বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধ চলাকালে ঈশ্বরদী রেল জংশন এলাকার ওয়াশপিটে দাঁড়িয়ে থাকা সিক্স ডাউন ট্রেনে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেয় দূর্বৃত্তরা। ওই ঘটনায় রেলওয়ে থানায় মামলার পর পুলিশের একাধিক দল অভিযানে নামে।
ট্রেনে আগুন দেয়ার সময় দগ্ধ সুমন বাসা থেকে ওষুধ কিনতে বেরুলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সুমনের দেয়া তথ্যে ট্রেনে আগুন দেয়ার রহস্য বেরিয়ে আসে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে সুমন।

আকবর আলী মুনসী বলেন, অর্থের বিনিময়ে ট্রেনে আগুন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন জাকারিয়া পিন্টুর আপন দুই ভাইÑঈশ্বরদী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মেহেদী হাসান এবং পৌর যুবদলের আহবায়ক জাকির হোসেন জুয়েল।

পুলিশ তথ্য পেয়েছে, এই ঘটনার সাথে আরো কয়েকজন জড়িত আছে। এরা হলো, ঈশ্বরদী পৌরসভার শৈলপাড়ার আবুল কালামের ছেলে পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শাহীন হোসেন, মৃত ফরিদ হোসেনের ছেলে পৌর যুবদলের সদস্য রুবেল হোসেন, মকলেছ হোসেনের ছেলে মামুন হোসেন এবং রহিমপুরের রাসেল হোসেন। এসব আসামীসহ পরিকল্পনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশর অভিযান চলছে। আটক সুমনকে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে রেলওয়ে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার বলেন, দুস্কৃতিকারীরা যাতে পুনরায় ট্রেনে আগুন দিতে না পারে, সেজন্য ঈশ্বরদী রেল জংশন এলাকায় অতিরিক্ত আলোর ব্যবস্থা, সিসিটিভি স্থাপন, সাদা ও পোশাকি পুলিশসহ আনসার সদস্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। একইসঙ্গে পুরা জংশন এলাকাকে নিরাপত্তার মধ্যে আনার জন্য চারপাশে কাটাতার স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়ে।
#

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version