দাম কমেছে সবজির, বেড়েছে মাছ-মাংসের

আপডেট: মার্চ ২৯, ২০২৪, ১১:১১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:রমজানে শেষ দিকে এসে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। ইফতারে বহুল ব্যবহৃত বেগুন, শশা, খিড়া ও টমেটোর দাম কমেছে। এছাড়াও দাম কমেছে লেবুরও। তবে আলু ও পেঁয়াজের বাজার চড়া। এদিকে মাছ-মাংসের দামও বেড়েছে।

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, লাউ, পেঁপে, মিষ্টি কুমড়াসহ ঝিঙা, চিচিঙ্গা, করলার মতো সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় কেজি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। প্রায় সব বাজারেই রোজা প্রথম দিকের চেয়ে সবজির দাম কমেছে।

রমজান শুরুর আগে ডাল, সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যায় এক লাফে। রমজানের তৃতীয় শুক্রবারে সে তুলনায় দাম কমেছে সবজির। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজিতে, শশা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি, খিড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে, ঝিঁঙে প্রতি কেজি ৪০ টাকায়, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকায়,

লাউ প্রতি পিস ৩০, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৩০ টাকায়, কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ৬০, মটরশুঁটি প্রতি কেজি ৮০ টাকায়, গাজর প্রতি কেজি ৪০ টাকায় ও শিমের বিচি ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। তবে দাম বেড়েছে আলুর। প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে এছাড়াও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। আদা বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ ও চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

এদিকে অ্যাঙ্কর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজিতে, খেসারি ডাল ১২০ টাকা কেজি, প্রতি কেজি মোটা, মাঝারি ও সরু দানার মসুর ডাল ১০৫ থেকে ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৩০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজিতে।

বাজারে এখন এক কেজি সাধারণ মানের জিহাদী খেজুরের দাম ৩০০ টাকা। এছাড়া ভালো মানের খেজুর ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
তবে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা কেজিতে। লাল লেয়ার ৩৩০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, সোনালী ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি। প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা দরে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকায়।

বাজারে সব ধরনের মাছের দাম বাড়তি যাচ্ছে তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায় ও বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় এবং টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মৌসুমি ফল তরমুজের দামও কিছুটা কমেছে। সাহেববাজারে তরমুজ বিক্রেতাদের হাকডাকও নজর কাড়ছে না ক্রেতাদের। রোজার প্রথম দিকে ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া তরমুজ এখন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবুও দেশের অনেক স্থানে পিস হিসেবে তরমুজ বিক্রি হলেও রাজশাহীতে এখনও বিক্রি শুরু হয়নি।