সোমবার, ২০ মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
শাহীন রহমান, পাবনা :
জন্ম থেকেই শারীরিক প্রতিবন্ধী জাবেদ চৌধুরী (৬৮)। দুই হাত আর দুই পায়ে ভর করে চলাফেরা করেন তিনি।
শারীরিক এমন প্রতিবন্ধকতা দমাতে পারেনি তাকে। দুই হাত আর দুই পায়ে ভর করে এসে ভোট দিলেন হতদরিদ্র জাবেদ। এবারই প্রথম ইভিএম এ ভোট দিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন তিনি।
সরেজমিনে পাবনার বেড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণকালে তার দেখা মেলে কাশীনাথপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ কেন্দ্রে।
বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভোট দিয়ে বের হওয়ার পর কথা হয় তার সাথে।
আলাপকালে জাবেদ চৌধুরী বলেন, ২০ বছর বয়স থেকে প্রতিটি নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছেন তিনি। এত বছর ব্যালট পেপারে ভোট দিয়ে আসলেও এবারই প্রথম ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট দিলেন তিনি।
জাবেদ বলেন, ইভিএম পদ্ধতি খুব একটা কঠিন নয়। সকালে আমার স্ত্রী প্রথমে ভোট দিয়ে আমাকে বিস্তারিত জানিয়েছেন কিভাবে ভোট দিতে হয়। প্রথমে সাদা বাটনে চাপ দিয়ে পরে সবুজ বাটনে চাপ দিতে হয়। এভাবেই আমি খুব সহজে ভোট দিয়েছি। কোন সমস্যা হয়নি।
জানা গেছে, বেড়া উপজেলার আমিনপুর থানার জাতসাকিনী ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের মৃত ময়েন চৌধুরীর ছেলে জাবেদ। জন্ম থেকেই তিনি শারীরিক প্রতিবন্ধী।
সংসারে তার স্ত্রী, এক ছেলেও এক মেয়ে রয়েছে। দুজনকেই বিয়ে দিয়েছেন। ছেলের নাম আলামিন (২৭) ও মেয়ের নাম বিউটি (১৯)। ছেলে আলামিন তার সাথেই থাকেন। সে রাজমিস্ত্রি শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। স্ত্রী নুরজাহান খাতুন গৃহিণী।
এত বছর বয়স হলেও তিনি এতদিন প্রতিবন্ধী ভাতা পাননি। দুই বছর আগে বেড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল হক বাবু তার একটি প্রতিবন্ধী ভাতা করে দিয়েছেন। সেই ভাতার টাকা, ছেলের কিছু আয় এবং মানুষের সাহায্য নিয়ে তাদের সংসার চলে।
জাবেদ চৌধুরী বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ ভাল। ইভিএম মেশিনে ভোট দিয়ে ভালই লেগেছে।