রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
দুর্গাপুর প্রতিনিধি
দুর্গাপুর উপজেলার পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলীর স্বাক্ষর করা বিভ্রান্তিকর একটি চিঠি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্ঠি হয়েছে। ওই চিঠি পেয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যসহ স্থানীয়দের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। চিঠি হাতে পেয়ে তারা বলেন, পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসলে কে? রবিউল ইসলাম খান, নাকি আজাহার আলী? ওই চিঠিতেই গত মঙ্গলবার ইউনিয়ন পরিষদে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিভ্রান্তিকর ওই চিঠি নিয়ে ইউপি সদস্যদের তোপের মুখে পড়েন চেয়ারম্যান আজাহার আলী।
জানা গেছে, গত মঙ্গলবার উপজেলার পানানগর ইউনিয়ন পরিষদে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ওই সভায় সভাপতিত্বে করেন ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী নিজেই। সভায় ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন, সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ, আইনশৃঙ্খলা, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ ও অন্য বিষয়ে আলোচনা হয়। ওই সভা আহ্বান করে গত ২২ জানুয়ারি চেয়ারম্যান আজাহার আলী স্বাক্ষরিত চিঠি ইউপি সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দেয়া হয়। কিন্তু চিঠি হাতে পেয়েই রীতিমতো কিংকর্তব্যবিমূঢ় ইউপি সদস্য ও স্থানীয়রা। চিঠিটি ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে করা হলেও উপরের অংশে পরপর দুটি লাইনে সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম খাঁনের নাম রয়েছে। অর্থাৎ ওই প্যাড সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম খাঁনের সময় ব্যবহার করা হয়েছে। আর চিঠির শেষাংশে স্বাক্ষর দিয়ে তাতে সীল মোহর দেয়া হয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান আজাহার আলীর।
নাম প্রকাশে এক ইউপি সদস্য জানান, চেয়ারম্যান আজাহার আলী পরিষদের দাফতরিক কাজে অনেকটাই অদক্ষ হওয়ায় হয়তো ভুলটা হয়েছে। তবে ইউপি সচিবের উচিত ছিল চিঠিটি ভালোভাবে দেখে তারপর ইস্যূ করা।
স্থানীয়রা জানান, চিঠিতে পরপর দুটি জায়গায় সাবেক চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম খাঁনের নাম রয়েছে। এতে করে ইউপি চেয়ারম্যান আজাহার আলী পরিষদের কাজে কতটা দক্ষ তার প্রমাণ তিনি নিজেই দিয়েছেন। তাছাড়া এতোবড় ভুল কিভাবে সম্ভব। এ ধরনের বিভ্রান্তিকর চিঠি নিয়ে রীতিমতো পুরো উপজেলা জুড়ে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পানানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজাহার আলী পুরো ঘটনাটির দায়ভার ইউপি সচিব দুলাল হোসেনের উপর চাপিয়ে দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এ ধরনের চিঠি কম্পিউটারে করাই ছিল। ওইটা দেখে চিঠি করতে গিয়ে সচিব দুলাল এ কাজটি করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি সচিব দুলাল হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু ক্ষমা চাওয়ায় প্রথমবারের মতো সচিব দুলালকে ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে বলেও জানান চেয়ারম্যান আজাহার আলী।