রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ধর্ম বা বর্ণ ভোটের প্রচারে রাজনীতিবিদেরা ব্যবহার করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বে ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের সাত সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ সোমবার সংখ্যাগরিষ্ঠ (৪: ৩) মতের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত দেন বলে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ভারতের হিন্দুত্ববাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় থাকার মধ্েয আদালতের এই আদেশ এল। আদেশে বলা হয়, “নির্বাচনী প্রক্রিয়া ধর্মনিরপেক্ষ চর্চার বিষয়। এতে ধর্মের কোনো ভূমিকা নেই।”
ভোট চাওয়ার ক্ষেত্রে ধর্ম ও বর্ণের ব্যবহারের কারণে নির্বাচনী আইনের অধীনে দুর্নীতির চর্চাও বেড়ে যাচ্ছে বলে আদালত পর্যবেক্ষণ দিয়েছে।
বিজেপি সরকারের আমলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি রাজ্যের বিধানসভার ভোটের আগে সর্বোচ্চ আদালতের এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলছেন বিশ্লেষকরা। এই পাঁচ রাজ্যের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ পরই অনুষ্ঠিত হবে উত্তর প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন, যে রাজ্যটির ভোটে বরাবরই ধর্ম ও বর্ণের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। এর বাইরে পাঞ্জাব, উত্তরখণ্ড, গোয়া ও মনিপুরেও ভোট হবে।
আদেশে আদালত বলেছে, মানুষ ও ঈশ্বরের মধ্যে সম্পর্ক ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। এ ধরনের একটি বিষয়ে রাষ্ট্রের নাক গলানো নিষেধ।
তবে এই মতের বিরোধিতাকারী বিচারকরা বলেছেন, নির্বাচনের ভেতরে ও বাইরে বর্ণ, বিশ্বাস ও ধর্ম নিয়ে আলোচনা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত। এটাকে নিয়ন্ত্রিত করা যাবে না। এ বিষয়ে সিদ্ধান্তের ভার পার্লামেন্টের উপর ছেড়ে দেয়ার পক্ষে মত দেন ওই তিন বিচারক।
ভারতীয় নির্বাচনে প্রায়ই বর্ণ ও ধর্ম প্রধান প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে। ভোটের পাল্লা ভারী করার জন্য বেশির ভাগ দলই ধর্ম ও বর্ণ বিবেচনা করে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়।
নির্বাচনে ধর্ম ও বর্ণের ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে ১৯৯০ সালে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রে আদালতে প্রথম তোলা একটি মামলার শুনানি করে সোমবার সর্বোচ্চ আদালতের এই আদেশ এল।- বিডিনিউজ