শনিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক:
ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝে হঠাৎই উত্তর কোরিয়ায় যাচ্ছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দীর্ঘ ২৪ বছর পর ‘বন্ধু’ কিম জং উনের দেশে পা রাখবেন তিনি। আমেরিকার দাবি, এবার দুদেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি নিয়েই পুতিনের এই সফর। গত কয়েকমাসে রুশ ফৌজের বিরুদ্ধে লড়াই করতে বেশ বেগ হতে হচ্ছে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে। হাতিয়ার চেয়ে পশ্চিমা বিশ্বের কাছে ‘হাহাকার’ করছে ইউক্রেন। ফলে এবার কিম ও পুতিনের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি হলে চাপ বাড়বে কিয়েভের।
গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার চোখরাঙানি উপেক্ষা করে রাশিয়ায় গিয়েছিলেন কিম। বন্ধু পুতিনকে আশ্বাস দিয়েছিলেন, রণক্ষেত্রে রাশিয়াকে সবরকমভাবে নিঃশর্ত সাহায্যের। পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন পিয়ংইয়ংয়ে যাওয়ার জন্য। সেই ডাকে সাড়া দিয়েই এবার উত্তর কোরিয়ায় যাচ্ছেন পুতিন। আজ, মঙ্গলবার পিয়ংইয়ংয়ে পা রাখবেন তিনি। বুধবার পর্যন্ত থাকবেন বন্ধুর দেশে। রয়টার্স সূত্রে খবর, এই দুদিনে পুতিন বৈঠক করার পাশাপাশি ঘুরে দেখবেন কিমের অত্যাধুনিক অস্ত্রভা-ার। ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকেই পরমাণু অস্ত্রধারী এই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করতে উঠেপড়ে লেগেছে মস্কো। কারণ এই যুদ্ধে হাতিয়ার জুগিয়ে ইউক্রেনের পাশে রয়েছে আমেরিকা। যা মোটেই ভালোভাবে নেননি পুতিন। তাই আমেরিকাবিরোধী দেশের সঙ্গে জোট বাঁধতে চাইচেন তিনি।
এর আগে বহু রিপোর্টে আমেরিকা দাবি করেছে, সকলের নজর এড়িয়েই রাশিয়াকে অস্ত্র যোগাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। যা নিয়ে দুদেশকেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। পালটা পরমাণু যুদ্ধের ভয় দেখিয়ে দিয়েছেন পুতিনও। ফলে তাঁর এই সফরকে কেন্দ্র করে এবার মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সংঘাত আরও তীব্র হবে ওয়াশিংটনের। এমনকী দুদেশের মধ্যে অস্ত্র চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। এনিয়ে সোমবার মার্কিন বিদেশ দপ্তর জানিয়েছে, ‘পুতিন এই সফর নিশ্চিত ছিল। ইউক্রেনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অস্ত্র চাইতেই তিনি উত্তর কোরিয়ায় যাচ্ছেন। দুদেশের এই সম্পর্কে আমরা উদ্বিগ্ন।’
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন