নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারকে বিমানবন্দরে অভিনন্দন

আপডেট: জানুয়ারি ১৫, ২০১৭, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


বিমান নামবে দুপুর পৌনে ১টায়। কিন্তু তার আগে বেলা ১১টার মধ্যেই সাধারণ কর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে বিমানবন্দরের সামনের সড়ক। আর বিমানবন্দরের ভেতরে ভিআইপি লাউঞ্জের সামনে অপেক্ষা করছিলেন দলীয় নেতারা। অপেক্ষা রাজশাহী জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকারের জন্য।
গত বুধবার ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শপথ নেন তিনি। এরপর থেকে তিনি ঢাকাতেই অবস্থান করছিলেন। শনিবার স্ত্রী ও মেয়েসহ নিকটাত্মীয়দের নিয়ে তিনি রাজশাহী ফেরেন। তাই বিমানবন্দরে তাকে শুভেচ্ছা জানাতে এতো মানুষের অপেক্ষা।
অবশেষে অপেক্ষার প্রহর কাটলো। দুপুর পৌনে ১টা বাজতেই ইউএস বাংলার একটি বিমান গর্জন করতে করতে হযরত শাহমখদুম (র.) বিমানবন্দরের মাটি স্পর্শ করলো। দরজা খুলতে প্রথমেই বেরিয়ে এলেন তিনি, যার জন্য এতো মানুষের অপেক্ষা। বিমানের সিঁড়িতে দাঁড়িয়েই হাত তুলে সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুল করলেন না তিনি।
এরপর সিঁড়ি বেয়ে এগিয়ে এলেন সামনের দিকে। অপেক্ষমান নেতাকর্মীরাও এগিয়ে গেলেন সামনে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে দলীয় নেতারা সেখানেই তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানালেন। এরপর ভিআইপি লাউঞ্জের পথ ধরে বিমানবন্দরের সামনে বেরিয়ে এলেন মোহাম্মদ আলী সরকার।
সেখানে অন্তত দেড় হাজারের মতো দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাকে ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করে নিলেন। ফুলের তোড়া নিয়ে হাজির হয়েছিলেন জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যরাও। এছাড়া জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধিরাও উপস্থিত হয়েছিলেন মোহাম্মদ আলী সরকারের আগমনকে ঘিরে। মোহাম্মদ আলী সরকার সেখানেই সবার সঙ্গে কুশল বিনিময় করে নিলেন।
সবার ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এবার মাইক্রোফোন হাতে নিয়ে বক্তব্য শুরু করলেন মোহাম্মদ আলী সরকার। বললেন, ‘সবাই আমার সঙ্গী। কখনও ভাববেন না জেলা পরিষদে আমি একা যাচ্ছি। জেলা পরিষদ আমার একার কোনো প্রতিষ্ঠান হবে না। স্থানীয় সরকারের সকল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধের প্রতিষ্ঠান হবে রাজশাহী জেলা পরিষদ। সাধারণ মানুষেরও দাবি-দাওয়ার জায়গা হবে জেলা পরিষদ। আপনাদের সবার ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।’
গত ২৮ ডিসেম্বরের জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়াও চার মেয়াদে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই ও সার্ক চেম্বারের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন বিশিষ্ট এই ব্যবসায়ী।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ