সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নাটোর অফিস
নাটোরে চারটি পিস্তল, ছয়টি ম্যাগজিন, ১৭ রাউন্ড গুলি ও ৫০টি টাইম বোমা তৈরীর সরঞ্জামসহ ফজলুর রহমান নামে এক কলেজ ছাত্রসহ ৩ জেএমবি সদস্যকে আটক করেছে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশের একটি বিশেষ দল। গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাটোর সদর উপজেলার চাদপুর পাবনাপাড়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়।
গ্রেফতারকৃত ফজলুর নাটোর এনএস কলেজ ছাত্র বলে নিশ্চিত করেছে তার পরিবার। সে উপজেলার চাদপুর গ্রামের মোতালেব প্রামানিকের ছেলে। অপরদিকে এই ঘটনায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খালিদকে আটক করা হয়েছে বগুড়া পুলিশ নিশ্চিত করলেও নাটোর পুলিশ কিছু জানাতে পারে নি। বাকি এক জনের পরিচয় জানা যায় নি।
বগুড়া জেলা পুলিশ ও নাটোর জেলা পুলিশের কয়েকটি সূত্র জানায়, এনএস কলেজের ছাত্র ও জেএমবির সদস্য ফজলুর সেলফোনের বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে জেএমবির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতো। পাশাপাশি জেএমবির অপারেশনের জন্য তার বাড়িতে অস্ত্র মজুদ করে রাখে। সেলফোনের অ্যাপসের জঙ্গি দের যোগাযোগের সন্ধান পেয়ে ফজলুর অবস্থান নিশ্চিত করতে নাটোরে অনুসন্ধান শুরু করে বগুড়া ডিবি পুলিশ। ৪/৫ দিন অনুসন্ধানে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার চাদপুর থেকে আটক করা হয় ফজলুর এবং তার প্রতিবেশী ভাতিজা ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র খালিদ ও তার ছোটবোন হাফসাকে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে ফজলুর দেয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার রাত ১০টার দিকে তার বাড়ি থেকে উল্লেখিত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রাত ১টার দিকে খালিদের বোন হাফসাকে ছেড়ে দেয়া হলেও ফজলুর ও খালিদকে রাখা হয়েছে বগুড়া ডিবি পুলিশের হেফাজতে। বগুড়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান দুইজনকে আটকের বিষয়ে স্বীকার করে জানান, তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে অভিযান চলছে।
নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদার শুধু ফজলুর রহমান জানান, সম্প্রতি বগুড়ায় এক জেএমবি সদস্যকে আটক করে সেখানকার পুলিশ। আটককৃত ওই জেএমবি সদস্যের স্বীকারোক্তি অনুয়ায়ী শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার চাদপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায় বগুড়া ডিবি পুলিশের একটা বিশেষ দল। তাকে নিয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বগুড়া পুলিশের সূত্রগুলো জানায়, খালিদ জঙ্গিবাদের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছে তার অনুসন্ধান চলছে। এদিকে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন রাজশাহীর রেঞ্চের ডিআইজি খুরশিদ হোসেন, নাটোরের পুলিশ সুপার বিপ্লব বিজয় তালুকদারসহ অন্য পুলিশ কর্মকর্তা। এসময় রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় নাশকতা করতে জঙ্গি গোষ্ঠিরা জড়ো হচ্ছিলো। কিন্তু পুলিশের নজরদারিতে থাকার কারণে বিপুল পরিমান বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও অস্ত্রসহ আটক করা সম্ভব হয়েছে।