শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি :
নাটোরের বড়াইগ্রামে আল-আমিন (২৬) নামে এক কলেজছাত্র প্রায় একমাস আগে নিখোঁজ হয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় জিডি এবং পরিচিত স্থানে খোঁজ করে তার কোনো সন্ধান পান নাই। পরে তার সন্ধান চেয়ে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তেব্যে আল-আমিনের স্ত্রী কানিজ সুর্বনা বলেন, গত ৪ জুলাই বিকেলে টিউশানির জন্য বাড়ি থেকে বের হয় আল-আমিন। এরপর আর ফিরে আসে নাই। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাকে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে ৬ জুলাই ভাই আমীর হামজা থানায় অভিযোগ করেন।
পুলিশের পরামর্শে ১২ তারিখে জিডি করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তার কোন সন্ধান পাচ্ছি না। সে কোন সংস্থার কাছে আটক বা বেঁচে আছে না-কি মরে গেছে কিছুই জানতে পারছি না।
তিনি বলেন, আল-আমিন নাটোর এনএস কলেজ থেকে এবার রসায়ন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে। লিখিত পরীক্ষা শেষ হলেও ব্যবহারিক পরীক্ষা বাঁকি আছে। পড়ালেখার পাশাপাশি টিউশনির টাকায় সংসার চালাতেন। একমাত্র ছেলে নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছি।
ছেলে বারবার বাবাকে দেখতে চায়। আমি এই অবুঝ শিশুকে কিভাবে বুঝাব তার বাবার খোঁজ নেই।
সংবাদ সম্মেলনের আল-আমিনের ছেলে আব্দুল্লাহ (৩), স্ত্রী কানিস সুর্বনা, মা মেহেরুন বেগম, ভাই আমির হামজা ও মামা শ্বশুর সবুজ আলী উপস্থিত ছিলেন।
আল-আমিন হোসের মা মেহেরুন বেগম বলেন, আল-আমিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ত। কোন রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল না। টিউশনি করে পড়ালেখা করত। হঠাৎ করে একজন মানুষ এভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। আগে কখন কল্পনাও করি নাই।
বড় ভাই আমির হামজা বলেন, আমরা পুলিশ, র্যাব এর কাছে বারবার ধরণা দিয়ে কোন লাভ হচ্ছে না। আমার ভাই জীবিত না-কি মৃত আমরা জানতেও পারছি না।
বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) সরল মরমু বলেন, নিখোঁজ আল-আমিনের খোঁজে কাজ চলছে। ইন্টারনেট জটিলতায় কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি তার সন্ধান পাওয়া যাবে।