নিজস্ব প্রতিবেদক:
পদ্মার নতুন পানিতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ছে জেলেদের জালে। ধরাপড়া এসব মাছ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন জেলেরা। তবে জেলেদের দাবি- আগের মতো মাছ পাওয়া যাচ্ছে না পদ্মায়। কয়েক দিন থেকে পদ্মায় কমছে পানি।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজশাহীর বড়কুঠি পয়েন্টে কয়েকজন জেলেকে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে। জেলেরা বলছেন, জালে ছোট পাবদা, ছোট চিংড়ি, মলা ও পিয়ালি মাছ ধরা পড়ছে। তবে পানি কমলে আরও বেশি মাছ পাওয়া যাবে।
এদিকে নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে জমে উঠেছে নৌকা ভ্রমণ। রাজশাহী নগরীর টি-বাঁধ, মুক্তমঞ্চ ও বড়কুঠিসহ বিভিন্ন স্পটে রাখা আছে সারি সারি নৌকা। ভ্রমণ পিপাসুদের নিয়ে মাঝিরা নৌকা ছাড়ছেন ভরা পদ্মায়। মাঝিরা জানিয়েছেন, বছরের বেশিরভাগ সময় নদীতে পানি কম থাকায় তাদের নৌকা তেমন চলে না। তবে ভরা মৌসুমের কয়েকটা মাস তারা নৌকা চালিয়ে বেশ ভালোই আয় করেন।
পদ্মা নদীর মাছ ক্রেতা রবিন হোসেন বলেন, নদীপাড়ে তুলনামূলক মাছের দাম কম। এখানে সুলভ দামে মাছ পাওয়া যায়। তাই কষ্ট হলেও এখানে এসে অনেকেই মাছ কেনেন। তিনি ৫০০ টাকা কেজি দরে পিয়ালী মাছ কিনেছেন। একই সাথে সাড়ে ৮০০ টাকা দরে এক কেজি চিংড়ি মাছ কিনেছেন।
রাজশাহী মহানগরীর শ্রীরামপুর এলাকার জেলে রুবেল ইসলাম বলেন, ‘নদীতে মাছ ধরা শুরু হয় রাত থেকেই। সন্ধ্যার পর জাল ও নৌকা প্রস্তুত করে আবহাওয়া বুঝে রাত ১০টার দিকে চলে যাই। সারারাত মাছ ধরা হয়। ভোরবেলায় মাছ নিয়ে এসে এখানেই বিক্রি করি। এখন পদ্মার ভরা যৌবন চলছে। এই মাছ আরও বেশি পাওয়া যাবে পানি কমলে।’
অপর জেলে শামসুল ইসলাম বলেন, এখানে মাছ কেনাবেচায় কোনো ধরনের সমস্যা হয় না। তারা নদীতে মাছ শিকার করে নদীপাড়েই বিক্রি করেন। তবে এখানে ব্যাপারিরা আসে না। কিন্তু স্থানীয়ভাবে বিক্রি হয় মাছ।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) গেজ রিডার এনামুল হক জানান, রাজশাহীতে চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার পর্যন্ত পানি উঠেছে। এরপর থেকে কমছে পানি। সর্বশেষ শনিবার (২৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় পদ্মার পানি ছিলে ১৫ দশমিক ০২ সেন্টিমিটার।