শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগে তিন জনকে গ্রেফতার করে বারাসত থানা পুলিশ (ফােইল ছবি: সংগৃহীত)
সোনার দেশ ডেস্ক :
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগের তিন যুবককে গ্রেফতার করার কথা জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, আর্য দাস, সুবীর দাস ও রিপন চট্টোপাধ্যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত তিন জনই ‘বজরং’ দলের সদস্য।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত স্টেশন সংলগ্ন এলাকার একটি সড়কে সম্প্রতি বাংলাদেশের পতাকা এঁকে তা পা দিয়ে মাড়ানোর অভিযোগ ওঠে। খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। আন্দোলনরত যুবকদের মধ্যে থেকে প্রথমে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আরও এক জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
বাংলাদেশে সম্প্রতি রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় সম্মিলিত সনাতনি জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতারের পর ভারত প্রতিক্রিয়া দেখায়। আভ্যন্তরীণ বিষয়ে এমন হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকাও।
এরই জের ধরে এর আগে কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-হাইকমিশনের বাইরে সহিংস বিক্ষোভ করে ‘বঙ্গীয় হিন্দু জাগরণ’ নামে কলকাতার একটি ধর্মীয় সংগঠন। এ নিয়েও ভারতকে উদ্বেগের কথা জানায় ঢাকা। এ ঘটনার রেশ হতে না হতেই ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনেও হামলা চালানো হয়। পুড়িয়ে দেওয়া হয় বাংলাদেশের পতাকা।
এমন উত্তেজনার মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে আবারও বাংলাদেশের পতাকা অবমাননার অভিযোগ উঠলো। তবে গ্রেফতার যুবকদের দাবি, বাংলাদেশের বুয়েট ক্যাম্পাসের প্রবেশপথে ভারতের পতাকা রেখে, তা মাড়িয়ে শিক্ষার্থীরা হেঁটে যাচ্ছেন— এমন ভিডিও দেখার পরই তারা প্রতিশোধ নিতে তারা এ কাজ করেছেন।
যদিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর বুয়েট ক্যাম্পাসে গিয়ে এমন কোনও চিত্র পাননি স্থানীয় সাংবাদিকরা। ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও এ বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আরেকটি ভাইরাল ছবিতে দেখা গেছে, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা হাতে পাঞ্জাবি ও টুপি পরিহিত এক ব্যক্তি ভারতের জাতীয় পতাকা পায়ে মাড়াচ্ছেন। তবে অনুসন্ধানের পর ফ্যাক্ট চেক সংস্থা রিউমর স্ক্যানার জানিয়েছে, ভাইরাল ছবিটি বাস্তব নয় বরং, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির সাহায্যে তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে বজরং দলের পক্ষ থেকে সংগঠনটির প্রধান বাপন বিশ্বাস এ ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশে ভারতীয় পতাকা অবমাননার প্রতিশোধ নিতেই তারা এই ধরনের কর্মসূচি নিয়েছেন।
গ্রেফতার যুবকদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেফতার হওয়া তিন যুবককে না ছাড়া হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
তথ্যসূত্র: বাংলাট্রিবিউন