পাবনার অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে

আপডেট: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ৮:১০ অপরাহ্ণ

প্রখর রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ডাব বিক্রি করছেন এক বিক্রেতা। প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা মেটাতে তাই নিজেই ডাবের পানি পান করছেন। সোমবার দুপুরে পাবনা শহরের ট্রাফিক মোড় থেকে তোলা।

শাহীন রহমান, পাবনা:


অসহনীয় গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে পাবনার মানুষের জনজীবন। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র থেকে অতি তীব্র মাত্রার তাপপ্রবাহ। দুইদিনের ব্যবধানে আজ ছাড়িয়ে গেল চলতি মৌসুমের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা পাবনা জেলায় চলতি মৌসুমের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বাতাসের আদ্রর্তা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ শতাংশ।

এর আগে গত শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) পাবনার ঈশ্বরদীতে এ মৌসুমের সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
ঈশ্বরদী আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, ঈশ্বরদীতে ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এটিই চলতি মৌসুমে পাবনা জেলায় সর্বোচ্চ। এ তাপমাত্রা আরও বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। সেই সেঙ্গ জেলায় অতি তীব্র তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে।

এদিকে, অসহনীয় তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে খেটে খাওয়া দিনমজুরদের অবস্থা শোচনীয়। এছাড়াও আম, লিচু, ধানসহ কৃষিক্ষেতেও ব্যাপক প্রভাব পড়ছে তাপদাহের। হাসপাতালগুলোতে ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দি জনিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে শিশু বয়স্করা বেশি রোগাক্রান্ত হচ্ছে। ২৪ ঘন্টায় ডায়রিয়ায় ৪০ জন আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে।

তিনি আরো জানান, হাসপাতালে প্রচুর রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। গরমের হাত থেকে বাঁচতে ছায়া ও শীতল স্থানে থাকা, বেশি বেশি পানি পান করা, রোদে বের হলে ছাতা ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তিনি।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডঃ জামাল উদ্দিন বলেন, প্রচন্ড গরমে আম ও লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে৷ তাই গাছের গোড়ায় বেশি করে সেচ দেয়া ও ফলের গুটিতে পানির স্প্রে দেয়া দরকার। কোন কীটনাশক ব্যবহার করা যাবে না।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version