পাবনায় র‌্যাবের সাথে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

আপডেট: নভেম্বর ২৬, ২০১৬, ১২:০৯ পূর্বাহ্ণ

পাবনা প্রতিনিধি



পাবনায় র‌্যাবের সাথে ডাকাতদলের বন্দুক যুদ্ধে ৪ ডাকাত নিহত ও ৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। শুক্রবার ভোর রাতে জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার জয়নগর ওয়াপদা গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব ৩টি আগ্নেয়াস্ত্র, ৬ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন ও ২টি ট্রাকসহ প্রায় ৪শত বস্তা চাল উদ্ধার করেছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কমান্ডার বীনা রানী দাস বলেন, র‌্যাব টাঙ্গাইল ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে শুক্রবার ভোর রাতে জয়নগর এলাকার বাদশা রাইস এজেন্সিতে সংঘবদ্ধ ডাকাতদল ডাকাতি করছে। এমন সংবাদ পেয়ে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে উপস্থিত হলে ডাকাতদল র‌্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেয়ে র‌্যাবকে লক্ষ করে গুলি চালায়। এ সময় র‌্যাবও পাল্টা গুলি চালালে ঘটনাস্থলে ৩ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয়। চাল বোঝাই একটি ট্রাক ডাকাত দলের অপর সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে র‌্যাবও তাদের পিছু ধাওয়া করে। এ সময় বরইচরা গ্রামে র‌্যাবের সাথে আবারো ডাকাতদের গুলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় ৫ ডাকাত গুলিবিদ্ধ হয় এবং ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর আরো দুইজন মারা যায়। নিহতদের মধ্যে একজনের পরিচয় জানা সম্ভব হলেও অপর ৩ জনের নাম ঠিকানা জানান সম্ভব হয়নি। হাসপাতালে নিহত ব্যাক্তি ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কিসমতদৌলা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে রুস্তম আলী (২৫)। আহত অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্যরা হলো: ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুরের কাটনি গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে মো. বাচ্চু মিয়া (৩৫), পঞ্চগড় জেলার বোদা এলাকার কবিরুল ইসলামের ছেলে মো. মেহেদী হাসান (২৫), চাদপুর জেলার মতলর উপজেলার দক্ষিণ বড়চর গ্রামের বিল্লাল হোসেনের ছেলে মো. হানিফ মিয়া, অপর একজনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জয়নগর এলাকাবাসী ও চাল ব্যবসায়ী মনিরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় আন্তজেলা ডাকাতরা রাতের আঁধারে এসে আমাদের মিলগুলিতে হামলা চালিয়ে লুট করে সব নিয়ে যেত। এটা আজকের সমস্যা নয়।
বাদশা রাইচ এজেন্সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলমগীর হোসেন বাদশা বলেন, পাশের একটি ময়দার মিলে ডাকাতরা প্রথমে রাত সাড়ে ৩ টার দিকে যায়। সেখানে ডাকাতি করতে ব্যর্থ হয়ে আমাদের এই মিলের নিরাপত্তা রক্ষীদের হাত-পা বেধে রেখে মিলের মধ্যে ঢুকে দুটি ট্রাকে চাল বোঝাই করছিল। আমরাও জানতাম না বিষয়টি। র‌্যাবের লোকজন এই এলাকায় আসলে তাদের সাথে বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরে আমরা বুঝতে পারি যে আমাদের মিলে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
র‌্যাব-১২ কমান্ডিং অফিসার শাহাবুদ্দিন খান জানান, বাদশা রাইস মিল থেকে ৪ শত বস্তা চালসহ ডাকাতিকালে সংঘবদ্ধ ডাকাতদের আমরা হাতে নাতে ধরে ফেলি, কিন্তু ডাকাতদল র‌্যাবের উপর গুলিবর্ষণ করলে আমরা গুলি চালাতে বাধ্য হই। অন্ধকারে প্রথমে গুলিবিদ্ধ ডাকাতদের মৃত মনে হওয়ায় মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে ২ জনের মৃত্যুও বিষয়টি আমরা নিশ্চিত হই। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে একজন ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরো একজন নিহত হয়।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ