পাবনা৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনি অফিস এবং সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর !

আপডেট: ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩, ১২:৩১ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি:


সংসদ নির্বাচনে পাবনা-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনি অফিসে হামলা ও পোস্টার ছেঁড়ার অভিযোগ উঠেছে।
অন্য ঘটনায় কথা কাটাকাটির জেরে স্থানীয় এক সাংবাদিকের বাড়িতে হামলার হয়েছে। এ সময় হামলাকারীরা সাংবাদিককে হুমকি-ধামকি দিয়ে একটি সিসিটিভি ভাঙচুর করেছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এবং শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুরে দুই দফা এ হামলার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সাংবাদিক থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্তদের একজন হামলা করে পাল্টা মামলা করেছে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।

আক্রান্ত সাংবাদিক কালের কন্ঠের চাটমোহর প্রতিনিধি আব্দুল লতিফ রঞ্জু জানান, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে নৌকা প্রতিকের একদল সমর্থক রেলবাজার এলাকায় মিছিল করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টারের ট্রাক প্রতিকের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে ট্রাক প্রতিকের সমর্থকদের সাথে তাদের কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়।

এই ঘটনার জেরে রাত সোয়া ২টার দিকে ব্যবসায়ী ফুরকান আলী বিশ্বাস, তার শ্বশুর এসএম আলম বাবলুর নেতৃত্বে পাঁচজনের একটি দল আমার বাসার ফটকে এসে অকথ্য গালিগালাজ ও ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। তারা বাসা সংলগ্ন আমার ওষুধের দোকানে সাটার ভাঙচুর করে। এক পর্যায়ে দোকানের সামনে থাকা একটি সিসিটিভি ভাঙচুর করে ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তারা চলে যায়।

এদিকে, শনিবার দুপুরে নৌকার সমর্থকরা রেলবাজার এলাকায় ওই সাংবাদিকের বাড়ির পাশে অবস্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতিকের নির্বাচনি অফিস ভাঙচুর করে এবং আবারো পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি পাবনা-৩ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তাজউল ইসলাম, চাটমোহর সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার হাবিবুল ইসলাম ও চাটমোহর থানার ওসি সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম রেজা বলেন, শনিবার উভয়পক্ষ পৃথক দু’টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। দু’টি অভিযোগই মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ট্রাক প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হামিদ মাস্টার বলেন, প্রচারণার শুরু থেকেই নৌকার সমর্থকরা একের পর এক হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে। এখন চালাচ্ছে ভাঙচুর। ভোটারদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। তারা পরাজয় নিশ্চিত জেনে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাংবাদিকের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ন্যক্করজনক। তিনি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

প্রধান অভিযুক্ত ফুরকান আলী বিশ্বাস বলেন, আমি তো হামলা করিনি। বরং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ছেলে ও সাংবাদিকের ভাইসহ তাদের কিছু লোক ওইদিন রাতে আমাকেই মারধর করেছে। হামলা ভাঙচুর করলে কী আমি এখন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে থাকি ভাই।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version