পাবনা-২ আসন : নৌকা প্রতীক ও প্রার্থীর নাম সংবলিত মাফলার সোয়েটার বিতরণের অভিযোগ

আপডেট: ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩, ৯:০০ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি:


পাবনা-২ (সুজানগর-আমিনপুর) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবিরের নাম ও নৌকা প্রতিক সংবলিত মাফলার, সোয়েটার ভোটারদের মাঝে বিতরণের অভিযোগ উঠেছে।

তার সমর্থক নেতাকর্মী ও ভোটারদের মাঝে মাফলার, সোয়েটার বিতরণের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ভোটারদের এমন উপহার দেয়া হলেও, বিষয়টি জানেন না নৌকার প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির।

খোঁজ নিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পাওয়া ছবি থেকে জানা যায়, একটি কালো রঙের হাইচ মাইক্রোবাস নিয়ে নৌকা প্রার্থীর সমর্থক কিছু নেতাকর্মী নির্বাচনি এলাকায় কয়েকটি স্থানে ভোটারদের শরীরে এমপি আহমেদ ফিরোজ কবিরের নাম ও তার প্রতিক নৌকা ছাপানো শীত নিবারণের মাফলার এবং হাফ সোয়েটার পরিয়ে দিচ্ছেন। যা ভোটারদের মধ্যে প্রভাব বিস্তার ও নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

এদিকে কয়েকদিন আগে সুজানগরের মানিকহাট ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এমপির নাম ও নৌকা প্রতিক প্রিন্ট করা মাফলার বেশ কিছু নেতাকর্মী গলায় পেঁচিয়ে ফটোসেশন করেন। এই ছবি ফেসবুকে আপলোড করেন সুজানগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের যুগ্ম আহবায়ক সানোয়ার হোসেন।

এই আসনের ঈগল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আজিজ খান বলেন, ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তাদের সোয়েটার, মাফলার বিতরণ করার বিষয়টি দুঃখজনক। এতে ভোটাররা প্রভাবিত হতে পারের। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আহমেদ ফিরোজ কবির এমপি বলেন, এমন কোনো পোশাক বিতরণের বিষয় আমার জানা নেই। তবে কিছু টি-শার্ট অনেক আগে বিতরণ করা হয়েছিল। এখন হয়তো তারা পরতে পারেন।

নাম ও প্রতিক ছাপানো শীতকালীন মাফলার ও সোয়েটার পড়ানো হচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আপনাদের মাধ্যমে জানলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কারা কী উদ্দেশ্যে এমন কাজ করছে।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য প্রচার অভিযান (সুপ্র) পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এমএ সালাম বলেন, নির্বাচনকালীন ভোটার বা যে কাউকে কোনো উপহার দেয়া এটা সম্পূর্ণ নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। এর দায় প্রার্থী এড়াতে পারেন না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সুজানগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুখময় সরকার বলেন, এমন বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। আপনার মাধ্যমে প্রথম জানলাম। আমরা তদন্ত করে ও আইনগত দিক বিবেচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version