শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর সঙ্গে শিক্ষকের অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর অভিযুক্ত শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ছাত্রী মুসলিম এবং শিক্ষক অবিবাহিত হলেও সনাতন ধর্মের হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চলছে সমালোচনা।
অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিস এলাকার বাসিন্দা এবং ভুক্তভোগী ছাত্রী একই বিভাগের মাস্টার্সের ইভিনিং ব্যাচের শিক্ষার্থী।
লিখিত অভিযোগ ও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক বছর ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। কিন্তু শিক্ষক সুব্রত পরবর্তীতে ছাত্রীকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। বাধ্য হয়ে বিয়ের দাবিতে বিভাগের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে সমালোচনা শুরু হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চেয়ারম্যান খাদিজাতুল কুবরা বলেন, ‘আমরা অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। এজন্য ক্লাস-পরীক্ষাসহ একাডেমিক সকল কার্যক্রম থেকে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমার বিভাগের পক্ষ থেকে উপাচার্য স্যার বরাবর একটি তদন্ত রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য ড. এস এম আব্দুল আওয়াল বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। ওই বিভাগের পক্ষ থেকে আমাকে জানানো হয়েছে। যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী একটি পূর্ণাঙ্গ সেল রয়েছে। আমি তাদেরকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেছি। যদি সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই তার উপযুক্ত বিচার হবে।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের মুঠোফোনে বুধবার একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। তার হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ দিলেও কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি তিনি।