পাবিপ্রবির কর্মকর্তাকে ‘স্যার’ না ডাকায় ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ

আপডেট: ডিসেম্বর ৬, ২০২৩, ৯:৪৬ অপরাহ্ণ


পাবনা প্রতিনিধি:


পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কাননকে ‘স্যার’ না ডাকায় এক মেয়ে শিক্ষার্থীকে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে।
এর প্রতিবাদে বুধবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীর বিভাগের সহপাঠীরা। সেইসাথে ঘটনার ব্যবস্থা চেয়ে একটি অভিযোগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্টার বরাবর জমা দেন তারা।

ভুক্তভুগী সেই ছাত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, তার একাডেমিক রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করার জন্য সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কাননের অফিসে যান তিনি। সেখানে শেখ মাহমুদ কাননকে ভাই বলে সম্বোধন করায় ক্ষুব্ধ সেকশন অফিসার ওই শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরকেও ভাই বলতে বলেন। ওই শিক্ষার্থী শিক্ষকদেরকে ভাই বলতে নারাজ হলে বাক-বিতর্কের এক পর্যায়ে তাকে ‘স্যার’ বলতে বাধ্য করেন সেকশন অফিসার মাহমুদ কানন। এতে সেই শিক্ষার্থী ভিত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পরে।

ভুক্তভুগী শিক্ষার্থীর বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে রেজিষ্টার বরাবর দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ‘গত ৪ ডিসেম্বর আমাদের বিভাগের ৩য় বর্ষের ১ম সেমিষ্টার এর এক মেয়ে শিক্ষার্থী তার রেজিস্ট্রেশন কার্ডের সংশোধন করতে রেজিস্টার অফিসের একাডেমিক শাখায় গেলে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন উক্ত ছাত্রীকে হেনস্তা করেন এবং স্যার বলতে বাধ্য করেন। সেইসাথে তিনি বলেন, তাকে স্যার না বললে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও স্যার বলা যাবেনা। উক্ত ছাত্রী হেনস্তার শিকার হওয়ার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা দপ্তরের প্রধান ড. নাজমুল হোসেনের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি।শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অভিযোগপত্র পেয়েছি। মাননীয় উপাচার্য ম্যামের উপস্থিতিতে আগামী শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সুষ্ঠু তদন্ত করে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে সেকশন অফিসার শেখ মাহমুদ কানন বলেন, ‘এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। বিষয়টা একটু ভুল বুঝাবুঝি হইছে। আমার ১২ বছর কর্মজীবনে এমন পরিস্থিতি হয়নি।কারো সাথেই আমি কখনো খারাপ ব্যাবহার করিনি করবোও না।
বিষয়টা আমি একভাবে বলেছি, উনি হয়তো বুঝেছেন অন্যভাবে।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version