শুক্রবার, ৫ জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাকশীর রেলওয়ে জায়গায় শত বছর ধরে বসবাসকারী ক্ষতিগ্রস্ত বাসিন্দারা বিভিন্ন আন্দোলন করে সুফল না পেয়ে এবার বাস্তচ্যুত হওয়ার আশঙ্কায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পাকশীবাসী। সোমবার (১ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী বরাবর লিখিত ভাবে তাদের পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন তারা। গণস্বাক্ষরযুক্ত লিখিত আবেদনটি গতকাল প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাঠিয়েছেন পাকশীবাসী।
আবেদনে পাকশীবাসী বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প কেন্দ্রের নিরাপত্তা বিধানকল্পে ‘ফোর্স বেইজ’ স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমি নক্শার মধ্যে বাজার, আবাসস্থল, মসজিদ, কলেজ, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিন্ডারগার্টেন স্কুল, মন্দির, গীর্জা, খেলার মাঠ, মাদ্রাসা, বৃটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত নারীমঙ্গল সমিতি, গোরস্থান ছাড়াও মুক্তিযুদ্ধে ঘর-বাড়ি হারানো মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থান এবং মুক্তিযুদ্ধকালীন কিছু শহীদের গণকবর রয়েছে। ‘ফোর্স বেইজ’ স্থাপনের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি নক্শার মধ্যে অবস্থানকারী ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী আজ বাস্তুচ্যূত হওয়ার আশঙ্কায় জর্জরিত। প্রাচীন জনপদ পাকশীর সর্বস্তরের মানুষ এখন তাদের আবাসন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও কর্মস্থল হারানোর ভয়ে উদ্বিগ্ন সময় কাটাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর নিকট পাকশী ইউনিয়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ‘ফোর্স বেইজ’ স্থাপনের নক্শার মধ্যে বসবাসরত ছিন্নমূল অসহায় মানুষগুলোর পুনর্বাসন ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য প্রার্থনা জানানো হয়। এই লিখিত আবেদনে এলাকাবাসীর পক্ষে পাকশীর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুজ্জামান পিন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাবিবুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রশীদুল্লাহ, অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, সাবেক চেয়ারম্যান এনামুল হক বিশ্বাস, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলামসহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী ওই আবেদনে স্বাক্ষর করেন।