মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:
ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরনের মাধ্যমে সেচ এলাকা দক্ষতা বৃদ্ধিকরন এবং পরীক্ষামূলকভাবে ড্রীপ সেচ পদ্ধতির প্রচলন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২দিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দূর্গাপুর জোন দপ্তরের এর আয়োজনে ২দিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরনের মাধ্যমে সেচ এলাকা দক্ষতা বৃদ্ধিকরন এবং পরীক্ষামূলকভাবে ড্রীপ সেচ পদ্ধতির কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি বেগম আখতার জাহান।
কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী শহীদুর রহমান প্রকল্প পরিচালক ইআইইসিডি,বিএমডিএ, মোসা বানেসা বেগম উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান দূর্গাপুর, মো ফরিদুল হোসেন অতি:কৃষি কর্মকর্তা দূগাপুর, মো আজমল হক সহকারী প্রকৌশলী বিএমডিএ দূগাপুর জোন।
কৃষক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মোস্তাফিজুর রহমান নির্বাহী প্রকৌশলী বিএমডিএ রাজশাহী রিজিয়ন রাজশাহী। ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরনের মাধ্যমে সেচ এলাকা দক্ষতা বৃদ্ধিকরন এবং পরীক্ষামূলক ভাবে ড্রীপ সেচ পদ্ধতির প্রচলন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২(দুই) দিন ব্যাপি কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে রাজশাহী দূর্গাপুর উপজেলার ৫০জন কৃষক প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন।
কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশকে স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী দেশরত্ব শেখ হাসিনা সঠিক সিদ্ধান্তের কারনে আজ বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে এক অনন্য শিখরে পৌছিয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রী যে নির্দেশনা দিয়েছেন যেন এক ইঞ্চি জমিও ফাঁকা রাখা যাবেনা। সকল জায়গায় ফসল ফলাতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ কাজের ধারাবাহিকতা চালিয়ে যাচ্ছে।
সেজন্য কৃষকদের কথা চিন্তা করে বিএমডিএ বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহন করেছেন। তাই আপনাদের সেচের যেন সমস্যা না হয় এই জন্য ভূ-গর্ভস্থ সেচনালা বর্ধিতকরনের মাধ্যমে সেচ এলাকা বাড়ানোর প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। আপনারা যেখানে সঠিক ভাবে সেচ দিতে পারতেনা এখন সেচ এলাকা বর্ধিকরনের মাধ্যমে সেই সমস্যা অনেকটা সমাধান করা হচ্ছে এবং আরো সমাধাণ করা হবে পযায়ক্রমে। কৃষক ভাই দের কাছে আমার একটায় নির্দেশনা থাকবে আপনার কেউ ফসলি জমি ফেলে রাখবেন না।
আপনারা আছেন বলে আজ বরেন্দ্র অঞ্চলে এক ফসল থেকে এখন তিন ফসল হচ্ছে আবার অনেক জায়গায় চার ফসলও হচ্ছে। তাই আপনারা যারা এখন থেকে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তারা নিজ নিজ এলাকার সকল কৃষককে সাথে নিয়ে ফসল আবাদ করবেন। এরফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখে ছিলেন সোনার বাংলা গড়তে তা পূরণ হবে।