বর্ষাকে সামনে রেখে নগরীর ওয়ার্ড ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের সকল ড্রেন পরিস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আপডেট: এপ্রিল ২৪, ২০২৪, ৯:৫৫ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


আগামী বর্ষাকে সামনে রেখে ভবিষ্যৎ জলাবদ্ধতা নিরসনে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক রাজশাহী মহানগরীর ৩০টি ওয়ার্ড ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সকল ড্রেন পরিস্কারকরণ কার্যক্রমের অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিকেলে নগর ভবনে মেয়র দপ্তরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র জননেতা এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে এই পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

উক্ত সভায় মেয়র ড্রেন পরিস্কারকরণ কার্যক্রমের পদ্ধতি ও অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় রাসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ থেকে জানানো হয়, ৩০টি ওয়ার্ড ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সকল ড্রেন পরিস্কারের কার্যক্রম গত মার্চ মাস থেকে শুরু হয়ে চলমান রয়েছে। আগামী মে মাসের মধ্যে নগরীর সকল ড্রেন পরিস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশস্ত ড্রেনগুলো আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে ড্রেন থেকে ময়লা-আবর্জনা ও কাদামাটি সরাসরি উত্তোলন করে অপসারণ করা হয়।

তবে সরু ড্রেনগুলো পরিস্কারের ক্ষেত্রে আধুনিক যন্ত্রপাতির সীমাবদ্ধতা রয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আর্থিক সীমাবদ্ধতা থাকায় সনাতন পদ্ধতিতে শ্রমিকদের মাধ্যমে ছোট ও সরু ড্রেনগুলো থেকে পানিযুক্ত ময়লা ও কাঁদা উত্তোলন করে ড্রেনের পাশেই রেখে পানি ঝরিয়ে তারপর তা অপসারণ করা হচ্ছে। এ সময় রাসিক মেয়র দ্রুততম সময়ের মধ্যে ড্রেন পরিস্কার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশনা প্রদান করেন।

এ সময় রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সরু ড্রেনগুলো পুরনো পদ্ধতিতে শ্রমিকদের মাধ্যমে পরিস্কার করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে কোন কোন এলাকায় নাগরিকদের যে সাময়িক অসুবিধা হচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা অবহিত রয়েছি। নাগরিক ভোগান্তি নূন্যতম পর্যায়ে নিয়ে আনার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে উক্ত কার্যক্রম সমাপ্ত করতে পরিচ্ছন্ন বিভাগকে নির্দেশনা প্রদান করেছি। সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। জনস্বার্থে বিষয়টি ইতিবাচকভাবে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি এবং নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। কোথাও বেশিদিন ময়লা পড়ে থাকলে তা রাসিক হটলাইন-১৬১০৫ নম্বরে অভিযোগ জানানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

সভায় ছিলেন ত্রাণ ও দুযোর্গ-ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহাদত আলী শাহু, ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন, সংরক্ষিত-ওয়ার্ড কাউন্সিলর সেবুন নেসা, সচিব মো. মোবারক হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য-কর্মকর্তা ডা. এফ.এ.এম আঞ্জুমান আরা-বেগম, উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন-কর্মকর্তা সেলিম রেজা-রঞ্জুসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version