বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীদের গুলি চালানো, হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (১৭ আগস্ট) দিবাগত রাতে এই মামলা করেন উপজেলার হামিরকুৎসা ইউনিয়নের খাপুর গ্রামের আব্দুল মতিন নামের এক ব্যক্তি।
মামলায় আসামী করা হয়েছে রাজশাহী-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ, তার স্ত্রী ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার শায়লা পারভীন ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টুকে। এছাড়াও ২২ জনের নাম উল্লেখ ও ৬০ জন অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে।
রোববার (১৮ আগস্ট) বিকেলে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পূর্বে বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তৎকালীন আওয়ামী লীগের এমপি আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু ও তাহেরপুর পৌরসভার মেয়র খন্দকার শায়লা পারভিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের উপর হামলা, বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হাট বাজারে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির করেন।
এছাড়াও আওয়ামী লীগের শাসনামলে উপজেলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, নেতাকর্মীদের বাড়িঘর ছাড়া করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলার ভবানীগঞ্জ এলাকায় বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মারপিট ও গুলি করে আহত করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
আব্দুল মতিন বলেন, এমপি আবুল কালাম আজাদ ও গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকারের নির্দেশে রামরামা গ্রামের মুনসুর রহমান নামের যুবদল নেতাকে ভবানীগঞ্জ পৌরসভার চাঁনপাড়া এলাকায় পিটিয়ে আহত করার পর পায়ে গুলি করে চলে যায় যুবলীগের ক্যাডারা। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অরবিন্দ সরকার বলেন, পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।