বাগাতিপাড়ায় দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার দুর্ভোগে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ

আপডেট: জুলাই ৩০, ২০১৭, ১১:৫৯ অপরাহ্ণ

মশগুল হোসেন ইতি, বাগাতিপাড়া


বাগাতিপাড়ায় দেড় কিলোমিটার কাদাযুক্ত এ কাঁচা রাস্তার কারণে শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয় -সোনার দেশ

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার চকতকিনগর-সালাইনগর সড়কের মাত্র দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা হাজারো মানুষের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। রাস্তাটি পাকা না হওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে কাদায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ গ্রামের মানুষদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পার হলেও পাকা করা হয় নি এ দেড় কিলোমিটার কাঁচা রাস্তাটি। ফলে এলাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারজাতকরন নিয়ে এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা পড়ছেন নানা বিপাকে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট এলাকাবাসী একাধিকার দাবি তুলেও কোন ফল হয় নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, একাধিকবার রাস্তাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর থেকে মাপজোক করা হলেও কোন কাজ হয় নি।
তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মকবুল হোসেন বলেন, ২০১৫ সালে কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার এক অনুষ্ঠানে স্থানীয় সাংসদ অ্যাড. আবুল কালামের নিকট রাস্তা এবং ব্রিজের দাবি করা হলে তিনি সেগুলো নির্মাণের আশ্বাস দেন। এরপর বড়াল নদীর ওপর রহিমানপুর-দিয়াড় ফেরিঘাট এলাকায় তকিনগর ব্রিজের অনুমোদনে খবর পাওয়া গেলেও রাস্তাটি পাকাকরণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় নি। এদিকে গত অর্থবছরে এলজিইডি ওই সড়কের মাত্র আধা কিলোমিটার পাকাকরণের উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করলেও এখনও শেষ হয় নি।
তিনি আরো জানান, তকিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যানিকেতন, তকিনগর আইডিয়াল হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, অথেনটিক পলিটেকনিক্যাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ থাকে না। ফলে ক্লাসে তাদের উপস্থিতি কমে যায়।
স্থানীয় রিয়াজুল ইসলাম জানান, এলাকাটি কৃষিপ্রধান হওয়ায় কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণ করতে প্রায় সাত কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। তাছাড়াও রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় বর্ষাকালে আমসহ অন্যান্য কৃষি পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক ও অন্যান্য গাড়ি প্রবেশ করতে পারে না। ফলে অনেকটা কম দামেই এসব পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয় চাষিরা।
একাদশ শ্রেণির ছাত্রী লাবণী বলেন, বর্ষাকালে জুতা-স্যান্ডেল খুলে হাতে নিয়ে কলেজে আসতে হয়। এছাড়াও রাস্তাটি কাঁচা হওয়ায় ভ্যান, রিকসা, অটো কিছুই আসতে চায় না। ফলে পায়ে হেটে কলেজে যাওয়া-আসা করতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরীফ খান বলেন, রাস্তাটি সম্পর্কে এ মুহূর্তে কিছু জানি না। বিস্তারিত জেনে পরে জানানো হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ