সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
আমানুল হক আমান, বাঘা
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার চরে টমেটোসহ বিভিন্ন সবজি চাষে বিপ্লব ঘটেছে। উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নের পদ্মার চরের মধ্যে শীত মৌসুমে বিভিন্ন সবজি চাষ হচ্ছে। সবজি উপজেলার মানুষের জীবন-জীবিকার একমাত্র উপায়। পদ্মার চরে টমেটো, শিম, মরিচ, বেগুন, করলা, পটোল, লাউ, ফুলকপি, শসা, মুলা, মাষকালাই ছাড়াও বিভিন্ন সবজির চাষ হচ্ছে।
চকরাজাপুর চরের মোহাম্মদ আলী ও কাবিল মিয়া বলেন, প্রতি বছর সবজি আবাদ করে জমি থেকেই পাইকারদের কাছে বিক্রি করা হয়। পাকুড়িয়ার হাবিবুর রহমান বলেন, ১৮ বিঘা জমিতে টমেটো চাষ করেছি। বিক্রি করতে কোন অসুবিধা হয় না। পাইকাররা জমিতে এসেই নিয়ে যায়। উৎপাদিত প্রতি কেজি টমেটোর দাম আগে ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। বর্তমানে স্থানীয় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকা।
এছাড়া বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ১২ থেকে ১৫ টাকায়। ফুলকপি ১০ থেকে ১৫ টাকা প্রতিটি। বর্তমানে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যান্ত ভালো। অল্প সময়ে ঢাকায় যাতায়াত করা যায়। ফলে সবজি ব্যবসায়ীরা নরসিংদী বাবুরহাট, রামপুরসহ ঢাকার যাত্রাবাড়ী, কারওয়ান বাজার ও শ্যামবাজারে সরবরাহ করে থাকেন। প্রতিদিন এই উপজেলা থেকে ১০ থেকে ১৫টি সবজি ভর্তি পিকআপ সরবরাহ করা হয়। শীতকালীন সবজি উৎপাদন ও সরবরাহের জন্য উপজেলার মধ্যে বিখ্যাত পদ্মার চর। এখানে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, লাউ, শসা, টমেটো, আলু, মরিচ, ধনেপাতাসহ বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবজি চাষাবাদ ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়।
বাঘার সবজি ব্যবসায়ী ইমরান হোসেন বলেন, প্রতি কেজি টমেটো খুরচা বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়। পাইকারিতে কিছুটা কম পাওয়া যাচ্ছে। তবে টমেটো ঢাকায় নিয়ে তা বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ টাকায়। এতে ভাড়া ও শ্রমিক খরচ বাদ দিয়ে যা পাওয়া যাবে তা খুব সীমিত।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাবিনা বেগম বলেন, সবজি চাষিরা উৎপাদিত টমোটো, শিম, আলু, বেগুন, কপি বিক্রি করতে অসুবিধা হয় না। পদ্মার চরে সবজি উৎপাদন ভালো হয়েছে। এই সবজি এলাকায় চাহিদা পূরণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে।