শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। তবে বেড়েছে পেঁয়াজ ও আলুর দাম। স্থিতিশীল আছে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম।
১০ দিন আগেও কোটা সংস্কার আন্দোলন ও কারফিউ ঘিরে বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যর দাম। বাজারে সব ধরনের শাক-সবজির দাম ছিল অস্বাভাবিক। কোনো কোনো সবজি দ্বিগুণের বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে দুই সপ্তাহ থেকে কমতে শুরু করেছে দাম। শুক্রবার (২ আগস্ট) নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। নিত্যপণ্যর দাম কমায় স্বস্তিতে আছেন ক্রেতারা।
এই সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচের দাম কমেছে বেশ। এই সপ্তাহে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। প্রতি হালি লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়। সাদা ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৬ টাকা হালিতে। এই সপ্তাহে প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এর আগের সপ্তাহে আলু ছিল ৬০ টাকা কেজি।
এই সপ্তাহে প্রতিকেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। এছাড়াও বেগুন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, গাজর ৮০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, এছাড়াও ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা। মিষ্টিকুমড়া ৪০, ঝিঙে ও ধুন্দুল ৪০, সজনে ডাঁটা ৬০, পটল ৪০, লাউ ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।।
এদিকে কমেছে ব্রয়লার মুরগি ও সোনালী মুরগির দাম। এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকায় ও সোনালী মুরগি বিক্রি হয়েছে ২৭০ টাকায়। গরু প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা ও খাসি ১১০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।