শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ঝড়ে পড়া আম রাজশাহীতে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মণ দরে। সেই হিসেবে এক কেজি আমের দাম সাত থেকে ১০ টাকা। মঙ্গলবার (২৮ মে) বেলা ১২ টার দিকে রাজশাহীর বানেশ্বর হাটে এই দামে আম কেনা-বেচা হয়েছে।
বানেশ্বর হাটের আম ব্যবসায়ীরা জানান, হাটে যে আমগুলো কেনাবেচা হচ্ছে সেগুলো ঝরে পড়া। এই আমগুলো কোনটা ভালো আছে এবং কোনটা ফেটে গেছে। আঘাতপ্রাপ্ত এই আমগুলো পাকার সম্ভাবনা খুব কম। তবে কয়েকদিন গেলে পচে যাওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কুড়িয়ে পাওয়া এসব আমগুলো পাকার আসা না করে বিক্রি করছেন অনেকে। এই আমগুলো দিয়ে আচার তৈরি করা হবে। সকাল থেকে ব্যবসায়ীরা ঝরে পড়া আমগুলো কিনছেনন হাটে। এরপরে ব্যাবসায়ীরা ট্র্যাকে করে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের আচার কোম্পানিতে আমগুলো পাঠাবেন।
একটি ভ্যান গাড়িতে পাঁচ ক্যারেট আম নিয়ে হাটে এসেছেন আরমান আলী বলেন, গতকালের ঝড়ে আমগুলো পড়েছিল। তারপরে কুড়িয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছিল। সে আমগুলা বিক্রি করতে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে আমের দাম অনেক কম। প্রতি কেজি সাত থেকে সাড়ে সাত টাকা দাম বলছে। যেখানে পাকা আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। কিন্তু ঝরে পড়া বিক্রি আছে সাত টাকা কেজি। কিন্তু গত সপ্তাহে আচারের জন্য আম বিক্রি হয়েছে ৩৫-৪০ টাকা দরে।
বানেশ্বর হাটে আম ক্রেতা মোস্তাকিন রহমান বলেন, ঝড়ে পড়া আচার ছাড়া কোন কিছু হবে না। তারা এই আমগুলো বিভিন্ন আচার কোম্পানিতে সরবরাহ করবেন। তারা প্রতি মাণ নাম কিনছেন ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মন দরে। এছাড়া বিকেলের দিকে ট্রাকে করে আম পাঠানো হবে।
বানেশ্বর রামহাটে ইজারাদার মাসুদ রানা বলেন, হাটা ঝরে পড়া আম উঠেছে। অনেকে কেনাবেচা করছেন। এই আমগুলো মূলত দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যে আচার কোম্পানিগুলো আছে সেগুলোতে ব্যবসায়ীরা সরবরাহ করে। তার জানা মতে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা মণ দরে কেনাবেচা হচ্ছে।
বাঘা প্রতিনিধি:
ঘর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে রাজশাহীর বাঘায় আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবার অতিরিক্ত ক্ষরার কারনে গাছে তেমন আম আসেনি। গাছে যে আম ছিল রোববার রাত ২টা থেকে শুরু করে সোমবার বিকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টির সাথে বাতাসে আমের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর থেকে বিদ্যুৎ নেই। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
এ বিষয়ে গোচর গ্রামের মজবুল হোসেন বলেন, এবার গাছে তেম আম আসেনি। তবে কিছু গাছে যা আম ছিল সেগুলো ঝড়ে পড়ে গেল। এবার বাড়িতে সন্তানদের নিয়ে গাছের আম খাওয়া আর হবে না। কিনে খেতে হবে।
আড়ানীর আম ব্যবসায়ী নওশাদ আলী বলেন, গত মৌসুমের চেয়ে তিন ভাগের এক ভাগ গাছে আম নেই। তবে যেগুলো ছিল সে আমের প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ বৃষ্টি ও বাতাসে ঝড়ে গেছে। কিছু গাছের ছোট ছোট ডালপালা ভেঙ্গে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার শফিউল্লা সুলতান বলেন, আমের ৫ ভাগ ক্ষতি হয়েছে। এর সাথে সবজি, পেঁপে এবং কলার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে।