বিএমডিএ‘র বিজয় দিবস উদযাপন

আপডেট: ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩, ৬:২৩ অপরাহ্ণ

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:


মহান বিজয় দিবস, বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য এবং বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। বীরের জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার দিন। পৃথিবীর মানচিত্রে বাংলাদেশ নামে একটি স্বাধীন ভূখন্ডের নাম জানান দেয়ার দিন।

আর এই দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান কার্যালয় রাজশাহী বরেন্দ্র ভবনে ও সকল জোন ও রিজিওন অফিসে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয় দিবসটি।

সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও রাজশাহী নগরীর কোর্ট এলাকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি স্তম্ভে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক আব্দুর রশীদের নেতৃত্বে সকালে পুষ্পস্ববক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসের কর্মসূচী শুরু হয়।

পরে বিএমডিএ সম্মেলন মহান বিজয় দিবস-২০২৩ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্বরনে এক মিনিট নিরবতা পালন ও রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়ও বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মহান বিজয় দিবস-২৩ উদযাপন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক জনাব আব্দুর রশীদ।
মহান বিজয় দিবসএ আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বিএমডিএ নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাধারণ সম্পাদক আইইবি রাজশাহী নাজমুল হুদা। মহান বিজয় দিবস-২৩ আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) অতি: প্রধান প্রকৌশলী শামসুল হোদা, অতি: প্রধান প্রকৌশলী ড.আবুল কাশেম, অতি:প্রধান প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সমসের আলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জিন্নুরুইন খান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শহীদুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ.টি.এম মাহফুজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী ও কাউন্সিল মেম্বার আইইবি শরিফুল ইসলাম, মোঃ রাহাত পারভেজ সাধারণ সম্পাদক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স এ্যাসোসিয়েশন, বিএমডিএ শাখা, বিএমডিএ কর্মচারী ইউনিয়ন রাজ-১৫০০ এর সাধারণ সম্পাদক মো জীবন, রাজ৩০৪২ সিবিএ সভাপতি মেসবাউল হক সহ বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সদর দপ্তর ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপ-ব্যবস্থাপক (কৃষি), মনিটরিং অফিসার ও সহকারী প্রকৌশলীবৃন্দ সহ সকলে উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বাদ যোহর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ জামে মসজিদে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বিএমডিএ প্রধান কার্যালয়সহ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সকল কার্যালয়ে আলোকসজ্জা সাজানো হয়।

উল্লেখ্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ১৯৪৮ সাল থেকে ৫২র ভাষা আন্দোলন, ৬৬‘র ছয় দফা, ৬৯‘র গণঅভ্যুত্থান, ৭১‘র ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ, ২৫মার্চে গণহত্যা শুরু হলে ২৬মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষনা, ১৭এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠন এবং রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লাক্ষ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাক সেনাদের আত্মসমর্পনের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। বাঙালি জাতি পরাধীনতার শেকল ভেঙ্গে প্রথম স্বাধীনতার স্বাদ গ্রহণ করে। ২৪ বছরের নাগ পাশ ছিন্ন করে জাতির ভাগ্যাকাশে দেখা দেয় এক নতুন সূর্যোদয়।

প্রভাত সূর্যের রক্তাভা ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে। সমস্বরে একটি ধ্বনি যেন নতুন বার্তা ছড়িয়ে দেয় ‘জয়বাংলা’ বাংলার জয়, পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল। মহামুক্তির আনন্দ ঘোর এই দিনে এক নতুন উল্লাস জাতিকে প্রাণ সঞ্চার করে সজিবতা এনে দেয়। যুগ যুগ ধরে শোষিত বঞ্চিত বাঙালি চোখে আনন্দ অশ্রু আর ইস্পাত কঠিন দৃঢ়তা নিয়ে এগিয়ে যায় সামনে। বিন্দু বিন্দু স্বপ্নের অবশেষে মিলিত হয় জীবনের মোহনায়। বিশ্ব কবির সোনার বাংলা, নজরুলের বাংলাদেশ, জীবনানন্দের রূপসী বাংলা, রূপের তাহার নেইকো শেষ, বাংলাদেশ আমার বাংলাদেশ। বাঙালি যেন খুঁজে পায় তার আপন সত্তাকে। আদি বাঙালির সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক জীবন এবং ক্রমবিকাশের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে বাঙালির শৌর্য-বীর্য যেন আর একবার ধপ করে জ্বলে উঠে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version