বিরোধী কন্ঠ রোধ করার আইন, বলছেন ভারতের বিশিষ্ট আইনজীবীরা

আপডেট: জুলাই ২, ২০২৪, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক:


নতুন আইনে বেড়ে যাবে পুলিশের ক্ষমতা। ইচ্ছামতো যাকে তাকে আটকে রাখা যাবে জেলে। রোধ করা সম্ভব বিরোধী কন্ঠ। দেশে ন্যায় সংহিতা কার্যকর হওয়ার পর এই আশঙ্কাই করছেন বিরোধীরা।

প্রখ্যাত আইনজীবী ও সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমার প্রথম প্রশ্নই হল, নতুন আইন চালু করার কী দরকার পড়ল? আমাদের দেশে ব্রিটিশ আমলের যে আইনগুলি মনে হয়েছে সংবিধান সম্মত সেগুলি রাখা হয়েছে এবং যেগুলি মনে হয়েছে সংবিধান সম্মত নয় সেগুলি বাতিল করা হয়েছে।

অপরাধ বিষয়টি তো এরকম নয়, এটা ব্রিটিশ আমলের অপরাধ আর এটা স্বাধীন দেশের অপরাধ! অপরাধ আটকাতে যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার সেগুলো আমাদের দেশে চালু ছিল। সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা মানুষকে সংশোধিত করার জন্য। কিন্তু নতুন আইনে সেটা না থেকে বরং উল্টো ব্যবস্থা করা আছে।

এই আইনে পুলিশকে ব্যাপক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। পুলিশ ইচ্ছে করলে সাত বছর পর্যন্ত সাজা হয় এমন কোনও অভিযোগ থাকলে সেটা নথিভুক্ত করতেও পারে আবার নাও করতে পারে। এঁরা বলছেন ‘সিডিশন’ বা রাষ্ট্রদোহ আইন তুলে দিয়েছেন। এটা একটা নির্জলা মিথ্যাচার।

শব্দটা না থাকলেই কি আইনটা বাতিল হয়ে গেল? শব্দটা বাতিল করে এঁরা যেটা এনেছেন সেটা আরও মারাত্মক। এঁরা মুখে বলছেন ‘কলোনিয়াল’ বা ঔপনিবেশিক আইন বাতিল করেছি, কিন্তু আমার নিজস্ব বক্তব্য হল, নতুন আইনে ঔপনিবেশিক মানসিকতা আরও গভীরভাবে প্রকাশ পেয়েছে। এই আইন কোনও গণতান্ত্রিক আইন নয়। বরং এটা হয়েছে সাধারণ মানুষকে বিপর্যস্ত ও বিরোধী কন্ঠ স্তব্ধ করার জন্য।’

নতুন এই আইন পুলিশের মাধ্যমে অপব্যবহার করতে পারে সরকার। আশঙ্কা আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা ঋজু ঘোষালের। তিনি বলেন, ‘এই আইনে পুলিশকে এতটাই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, যার অপব্যবহার করতে পারে সরকার।

কারুর কাজ অপছন্দ হলেই এফআইআর করে তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে দেওয়া যাবে এবং জামিনও ততক্ষণ পাওয়া যাবে না যতক্ষণ না সরকারের মনে হবে। ইউএপিএ আইনের যা অপব্যবহার হয়েছে, নতুন এই আইনে তার থেকে বেশি অপব্যবহার হবে বলে আমরা মনে করছি।’
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version