বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে সাড়ে তিন বছর বয়সী একটি শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে এক ব্যক্তি।
ধর্ষণের পরে শিশুটি মারা গেছে ভেবে একটি গর্তে ফেলে দিয়ে যায় ৩৫ বছর বয়সী ওই ধৃত। ধর্ষণের কথা সে নিজেই স্বীকার করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। আনন্দ পর্বত এলাকার বাসিন্দা নির্যাতিতা ওই শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং সে এখন বিপদমুক্ত।
বাড়ির কাছেই বড়দিদির সঙ্গে খেলা করার সময়েই সোমবার রাতে নিখোঁজ হয়ে যায় শিশুটি। তার দিদিই বাড়ির লোকদের প্রথমে জানায় যে এক ব্যক্তি তার বোনকে চকোলেট দিয়েছিল। পুলিশ ওই ব্যক্তিকে রাতেই যখন গ্রেপ্তার করে, তখন সে সাংঘাতিক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিল। মঙ্গলবার কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে পুলিশী জেরায়।
তখনই জানা যায় যে শিশুটিকে ধর্ষণের পরে ঠিক কোথায় সে ফেলে দিয়ে এসেছে।
তাকে সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে পুলিশ সরাই রোহিলা এলাকায় একটি গর্তের মধ্যে শিশুটির নিথর দেহ খুঁজে পায়। দেহে প্রাণ থাকার আভাস পেয়েই তাকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
দিল্লি নারী কমিশনের চেয়ারপার্সন স্বাতী মালিওয়াল বলছেন তিনদিন আগেই চার বছরের একটি শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে খুন করে দেয়া হয়েছে।
নারীকমিশন দিল্লি হাইকোর্টের কাছে আবেদন করে বলেছে কেন্দ্রীয় সরকার জাতীয় রাজধানীতে নারী সুরক্ষার বিষয়ে যথেষ্ট পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় সরকার যাতে ‘নির্ভয়া তহবিল’ থেকে নারীদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনার অর্থ বরাদ্দ করে, সেই আবেদনও জানিয়ে আসছে দিল্লি মহিলা কমিশন।- বিবিসি বাংলা