মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২০ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
সেনা অফিসারদের মারধর করে লুঠ করা হল সঙ্গে থাকা যাবতীয় জিনিস। শুধু তাই নয়, ট্রেনি সেনা অফিসারদের সঙ্গে থাকা এক বান্ধবীকে গণধর্ষণের অভিযোগও উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সন্ধেয় মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের জাম গেট এলাকায়।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, লুঠপাট করার উদ্দেশ্য নিয়েই সেনা অফিসারদের পথ আটকেছিল দুষ্কৃতীরা। প্রথমে লুঠপাট করলেও, এরপর তারা ওই সেনা অফিসারদের সঙ্গে থাকা এক যুবতীকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। আক্রান্ত সেনা অফিসারদের বয়ানের ভিত্তিতে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজনের অপরাধের ইতিহাস রয়েছে।
আক্রান্ত এক সেনা অফিসার জানান, সেনা কলেজে তাদের প্রশিক্ষণ চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ইন্দোরের ছোটি জামের ফায়ারিং রেঞ্জের কাছে বান্ধবীদের সঙ্গে দেখা করেন তারা। সেখানেই তারা গল্প করছিলেন। আচমকা আট জন দুষ্কৃতী তাদের উপর চড়াও হয়।
হাতে ছিল লাঠি, পিস্তল, ছুরি। বিনা কারণেই দুই সেনা অফিসারকে বেধড়ক মারধর করা হয়। অফিসারদের বান্ধবীদেরও মারধর করা হয়ে বলে অভিযোগ। সেনা অফিসারদের সঙ্গে থাকা টাকা লুঠ করে নেওয়া হয়। এখানেই শেষ নয়, দুষ্কৃতীরা এক যুবতীকে বন্দি বানায়।
ওই সেনা অফিসারদের ১০ লক্ষ টাকা আনতে বলে। ওই অফিসার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পে গিয়ে কম্যান্ডিং অফিসারকে গোটা বিষয়টি জানান। কম্যান্ডিং অফিসার পুলিশে খবর দেন। সেনা ও পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা চম্পট দেয়। উদ্ধার করা হয় যুবতীকে। মেডিক্যাল টেস্টে জানা যায়, গণধর্ষণ করা হয়েছে যুবতীকে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন