শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
মহাকাশে আমেরিকা, রাশিয়ার একাধিপত্যের দিন বুঝি শেষ হয়ে এসেছে। একদিকে যেমন ইসরো নতুন নতুন উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্পে মন দিচ্ছে, পাশাপাশি আরব দেশও পিছিয়ে নেই। এদিকে নয়া মাইলফলক ছুঁতে মরিয়া চিনও। বুধবার স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ মহাকাশে পাড়ি দিলেন তিন চিনা মহাকাশচারী। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন নারী নভোচরও। আগামী ছমাস তাঁরা অন্তরীক্ষেই থাকবেন।
এদিন ঠিক ৪:২৭ মিনিটে গানসু প্রদেশের মঙ্গোলিয়ার জিউকুয়ান স্যাটেলাইট লঞ্চ সেন্টার থেকে সিনঝাউ স্পেসশিপ পাড়ি দিল মহাকাশে। লং মার্চ-২এফ রকেটের সাহায্যে সেই মহাকাশযান পেরিয়ে গেল পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণের বাধা। এটাই সেদেশের চতুর্দশ মহাকাশ অভিযান।
উল্লেখ্য, এই দলে রয়েছেন ৪৮ বছরের কমান্ডার কাই জুঝে, ৩৪ বছরের সং লিংডং এবং ৩৪ বছরের ওয়াং হাওজে। তৃতীয় নভোচরই নারী মহাকাশচারী। তিনি চিনের প্রথম নারী স্পেসফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ারও। সং ও ওয়াংই চিনের সবচেয়ে তরুণ মহাকাশচারীর তকমা পাচ্ছেন।
আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনের পর নিজস্ব মহাকাশ স্টেশন স্থাপন করেছে চিনও। এই তিন চিনা নভোচরের লক্ষ্য তিয়াংগং স্পেস স্টেশন। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল ওই স্পেস স্টেশনে যায় চিনা মহাকাশচারীদের এক দল। ৩ নভেম্বর তাদের পৃথিবীতে ফেরার কথা। এবার তাদের থেকে দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পালা নতুন তিন মহাকাশচারীর।
আগামী বছর এপ্রিলের শেষভাগ অথবা মে মাসের শুরুর দিক পর্যন্ত মহাকাশ স্টেশনে সামলাবেন পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ। এই ধরনের ধারাবাহিক গবেষণার মাধ্যমে চিন যে মহাকাশে তাদের ঘাঁটি ক্রমেই মজবুত করছে তা নিশ্চিত। সব মিলিয়ে বেজিংয়ের উচ্চাকাঙ্ক্ষী মিশনগুলির সলতে পাকানোর চলছে, এবং তা চলছে দ্রুত হারে। যেদিকে আরও একধাপ তারা এগিয়ে গেল বুধবার।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন