মহান স্বাধীনতার ৫২তম বার্ষিকী

আপডেট: মার্চ ২৬, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

 

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত উদ্দীপ্ত উজ্জ্বল শপথের দিন
আজ মহান স্বাধীনতা দিবস। ৫২তম বার্ষিকী। দু’বছরের করোনা-কঠিন মুহূর্তকে সামলেই জাতি এগোচ্ছে- স্বাধীনতার অবিনাশী চেতনা জাতিকে উদ্বুদ্ধ করছে, সাহস যোগাচ্ছে। পরাভব না মানার শৌর্য-বির্যের সঞ্চায়নই স্বাধীনতার উত্তারাধিকার। তাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শাণিত উদ্দীপ্ত উজ্জ্বল শপথের দিন আজ। অনেক চড়াই-উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এক সম্ভাবনার দেশ। এগিয়ে যাওয়ার ধারা বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে, এখনো হচ্ছে- তবুও দেশ এগিয়ে যায়। স্বাধীনতার শত্রুরা, ষড়যন্ত্রীরা বারবার পিছিয়ে যায়। ৫২ বছর পর বাংলাদেশ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহসী ও নির্দেশিত পথ ধরেই বাংলাদেশ বিশ্ব অঙ্গণে এক মর্যাদার দেশ। যারা ভেবেছিল বাঙালিরা পারবে না তারাও আজ বলছে- ‘বাঙালি-বাংলাদেশই পারবে, দ্যাখো ওরাই উন্নয়নের মডেল।’ বাংলাদেশ এখানেই অপরাজেয়- সে প্রমাণ বাংলাদেশ স্পষ্ট করেছে, দৃঢ় করেছে।

বাঙালি জাতির দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম, আপসহীন আন্দোলন এবং একাত্তরের নয়মাস রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করে। স্বাধীনতা সংগ্রামে দীর্ঘ পথচলায় এবং জনযুদ্ধের প্রতিটি মুহূর্তে যাঁর নেতৃত্ব বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত করেছে, শৌর্য-বীর্যে সাহসে স্পর্ধায় মরণোন্মুখ পথ মাড়িয়ে জীবনের জয়গান গাইতে শিখিয়েছে- তিনিই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে স্বাধীনতার স্থপতিকে জানাই শ্রদ্ধা ও সালাম। এই মহেন্দ্রক্ষণে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি জাতীয় চারনেতাকে, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহিদের আত্মদান এবং চার লক্ষ নারী- যারা সম্ভ্রম হারিয়েছেন, তাঁদের।

প্রতিবছরই স্বাধীনতা দিবস জাতির সামনে হাজির হয় নতুন নতুন তাৎপর্য নিয়ে। এবারের স্বাধীনতা দিবস জাতিকে নতুন উদ্ভাসে আলোকিত করেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করেছে জাতি। মুজিববর্ষের সফল কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে সিংহদ্বারে প্রবেশ করেছে। এই কৃতিত্বে বাংলাদেশ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অব্যাহত ধারাকে ত্বরান্বিত করবেÑ বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রস্তুতি-প্রতিজ্ঞাকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক মানবিক রাষ্ট্র গঠনের শপথ আরো সুদৃঢ় হবে।

মহান স্বাধীনতার উন্নয়নের এ দীর্ঘ পথ মোটেও মসৃণ নয়। হোঁচট খেতে হয় বারবার। রাজনৈতিক উত্থান-পতনটাই ছিল বড় অন্তরায়। মোকাবিলা করতে হয়েছে ঘূর্ণিঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। সেই সাথে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদসহ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হয়েছে, এখনো করতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ এগোচ্ছে, এগিয়ে যাবেÑ এ বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য। স্বাধীনতার বায়ান্নতম বার্ষিকীতে এ প্রত্যয় আরো শাণিত, আরো উজ্জ্বল হোক।
দৈনিক সোনার দেশের অগণতি পাঠক, শুভান্যুধায়ী ও বিজ্ঞাপনদাতাদের জানাই মহান স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীতে অনেক অনেক শুভেচ্ছা।