মাধ্যমিকে পবার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক সামসুদ্দীন, শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নওহাটা বালিকা

আপডেট: এপ্রিল ৩০, ২০২৪, ১০:৩৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীর পবা উপজেলার নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সামসুদ্দীন প্রামানিক ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’-এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হয়েছেন। শিক্ষার মান নিশ্চিতকরণ ও শিক্ষা ক্ষেত্রে বহুমুখী অবদান রাখার জন্য তিনি উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৪ উদযাপন কমিটি তাকে শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত করেছেন। পাশাপাশি তাঁর কর্মরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে।

জানা যায়, মো. সামসুদ্দীন প্রামানিক ২০০৪ সালে জেলার বাগমারা উপজেলার মচমইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক (ইংরেজি) হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ২০১৫ সালে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নওদাপাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন। এরপর তিনি ২০২০ সালে নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, তিনি নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই অত্যন্ত সুনাম, সততা, যোগত্য, মননশীলতা ও দক্ষতার সাথে প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তিনি প্রশাসনিক প্রশিক্ষণসহ শিক্ষার মান উন্নয়ন ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ-গ্রহণ করেন। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার-পাশাপাশি নিয়মিত মাল্টিমিডিয়া ক্লাস ও সহ-পাঠ্যক্রমিক, শিক্ষামূলক কার্যক্রম অত্যন্ত সুনামের সঙ্গে ভালো ফলাফল অর্জন করে আসছেন। তার-দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ পারিপার্শিক বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। ১৯৭২ সালে জেলার বাগমারা উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই মেয়ের জনক।

এদিকে ‘জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪’-এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ে নওহাটা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে। বাংলা রচনা প্রতিযোগিতায় এই বিদ্যালয়ের আনিকা তাবাসসুম হান্না প্রথম, ইংরেজি রচনা প্রতিযোগিতায় পুষ্পিতা পূর্না প্রথম হয়েছে। পবার প্রাণকেন্দ্র নওহাটায় নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ১৯৯৩ সালে স্থাপিত হয় এই বিদ্যালয়টি। বর্তমানে প্রায় ১১শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। ১৯ শিক্ষক-যারমধ্যে সাতজন নারী শিক্ষক এবং ৫ জন কর্মচারি নিয়ে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version