শুক্রবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
মেক্সিকোর জঙ্গলে বহু শতাব্দী ধরে লুকিয়ে থাকা বিশাল মায়া সভ্যতার শহরের সন্ধান পেল পিএইচডির এক ছাত্র। ‘ভ্যালেরিয়ানা’ নামে পরিচিত এই শহরে পিরামিড, খেলার মাঠ, প্রশস্ত পথ এবং অ্যাম্ফিথিয়েটারসহ বিভিন্ন স্থাপত্য পাওয়া গেছে। এই জায়গাটি মেক্সিকোর সাউথইস্টার্ন ক্যাম্পেচে রাজ্যে অবস্থিত এবং এটি প্রাচীন ল্যাটিন আমেরিকার সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ মায়া শহরগুলির মধ্যে ক্যালাকমুলের পরে দ্বিতীয়।
এই শহরটির সন্ধান মেলে লিডার প্রযুক্তির মাধ্যমে। এতে লেজার ব্যবহার করে মানচিত্রে চিহ্নিত করা হয়। টুলেন ইউনিভার্সিটির পিএইচডি শিক্ষার্থী লুক অউল্ড-থমাস তার ইন্টারনেটে কাজের সময় মেক্সিকোর একটি সংস্থার পরিবেশ মনিটরিংয়ের জন্য করা একটি লেজার পেয়ে যান। সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তিনি বিশাল আকারের এই প্রাচীন শহরটি আবিষ্কার করেন।
গবেষকদের ধারণা অনুযায়ী শহরটিতে ৩০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ বসবাস করত। যা ওই অঞ্চলের বর্তমান জনসংখ্যার চেয়েও বেশি। ভ্যালেরিয়ানা শহরে দুটি প্রধান কেন্দ্রের মাঝে পিরামিড, মন্দির, খেলার কোর্ট এবং জলাধারসহ বিভিন্ন স্থাপত্য রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, এই শহরে মায়ার জনগণ প্রার্থনা করতেন, মূল্যবান জেড পাথরের মুখোশ এবং অন্যান্য ধনসম্পদ লুকিয়ে রাখতেন এবং মৃতদের সমাহিত করতেন।
এছাড়া শহরটির বিস্তৃত অঞ্চলজুড়ে বাড়ি ও রাস্তার ব্যবস্থাও রয়েছে। ৮০০ খ্রিস্টাব্দে মায়া সভ্যতার পতনের অন্যতম কারণ ছিল ঘন জনবসতি ও জলবায়ু পরিবর্তন। সেই সময়ে প্রবল খরা পরিস্থিতিতে বসবাসকারীরা দুর্দশার মধ্যে পড়ে এবং পরিস্থিতির চাপ সামলাতে না পেরে এলাকা ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন