রাজশাহীতে একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ২:১৭ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীতে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে ভাষা আন্দোলনের শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২:০১ মিনিটে জেলা প্রশাসন চত্বরে অবস্থিত শহিদ মিনারে প্রথমে বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন-কবীর, রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদ ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় অমর একুশের কালজয়ী গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি…’ বাজানো হয়। পরক্ষণেই শহিদ বেদিতে ফুল দেন রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনিসুর রহমান, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. সাইফুর রহমান। এরপর শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ দলীয় নেতা-কর্মীবৃন্দ। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

রাজশাহী জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মধ্যরাতের নীরবতা ভেঙে হাতে ফুল ও কণ্ঠে ভাই হারা একুশের গান গেয়ে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভিড় করেন শতাধিক রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তাঁরা ফাগুনের ফোটা নতুন ফুলে শহীদ বেদীতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেছেন। ভাষার জন্য জীবন দেয়া ভাইদের ভুলে যাওয়া অসম্ভব, তেমনি প্রভাত ফেরীর আবেদনও কখনও ফিকে হবার নয়। এভাবেই রাজশাহীতে একুশের প্রথম প্রহরে সঞ্চারিত হয়েছে দেশপ্রেম।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুবসমাজসহ সবস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসক গোষ্ঠির চোখ-রাঙানি ও ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে। মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন। সেই জন্যই বাঙালি জাতির জন্য এই দিবসটি হচ্ছে শোক ও বেদনার। পাশাপাশি মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত দিবস।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version