রাজশাহীতে চিকিৎসকদের পদোন্নাতির অনিয়ম দূর করার দাবি

আপডেট: আগস্ট ১৫, ২০২৪, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


পদোন্নতির ক্ষেত্রে অনিয়ম ও বৈষম্য দূর করার দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছেন বঞ্চিত চিকিৎসকেরা। চুক্তিতে নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকেরাই পদোন্নতি পেয়ে পদ দখল করে রাখার কারণে এসব বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তারা বঞ্চিত হয়েছেন বলে বিক্ষোভ-সমাবেশে তারা দাবি করছেন।

এর প্রতিবাদে বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত তারা রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) প্রধান ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেন চিকিৎসকেরা। বিক্ষোভ থেকে তারা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালকের (ডিজি) অপসারণ দাবি করেন। বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে চিকিৎসকেরা ‘অবৈধ পদোন্নতি মানি না, মানব না’, ‘দুর্নীতিবাজ ডিজি, চাই না চাই না’ শ্লোগান দেন।

সমাবেশে বক্তারা জানান, ২০১০ সালের জুলাইয়ে অস্থায়ীভাবে ৪ হাজার ১০০ জন কর্মকর্তাকে নিয়োগ করা হয়। এছাড়া একটি প্রকল্প থেকে ৩৫৭ জনকে নিয়োগ করা হয়। তারা কেউ বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তা নন। তারপরেও ২০১৯ সালে প্রায় ৬০০ জনকে সহকারী অধ্যাপকসহ বিভিন্ন পদে ষষ্ঠ গ্রেডে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে বিধিবিধান সংশোধন করে ২০২২ সালে ১ হাজার ৯৮৯ জনকে নন-ক্যাডারভুক্ত করা হয়। অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্তদের চাকরি স্থায়ীকরণও করা হয় ২০২২ সালে। এর ফলে ২৮ থেকে ৪২তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের কর্মকর্তারা পদোন্নতি পাচ্ছেন না।

বক্তারা বলেন, বিসিএস ক্যাডারদের ফাউন্ডেশন প্রশিক্ষণ ও বিভাগীয় পরীক্ষা দিয়ে চাকরি স্থায়ী হয়। উচ্চতর গ্রেড ও পদোন্নতির জন্য সিনিয়র স্কেল পাশ করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ২০১০ সালে যারা চুক্তিভিত্তিক অস্থায়ী নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের এসব কিছুই লাগে না। তারা পদোন্নতি পেয়ে বসে আছেন। আর বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তারা যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না। তারা পদোন্নতি চাইলে বলা হয়, পদ ফাঁকা নেই। তাই তারা চুক্তিতে নিয়োগপ্রাপ্তদের পদোন্নতি বাতিল করে বিসিএস ক্যাডারদের এসব পদে পদোন্নতির দাবি জানান।

বিক্ষোভ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- ডা. এহসানুল হক, ডা. ফারহানা মতিন, ডা. রুমি শাহরিয়ার, ডা. সুমনা রাইসা নদী, ডা. জেরিন সাজ্জাদ, ডা. কাজী তামান্না হক, ডা. হৈমন্তী শুক্লা, ডা. স্বপ্না মজুমদার, ডা. রোকসানা আমিন, ডা. অনিন্দিতা সরকার প্রমুখ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ