রাজশাহীতে পুলিশ বক্স ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ

আপডেট: আগস্ট ৩, ২০২৪, ২:৫৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক :


রাজশাহীতে নয় দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ করেছে আন্দোলনকারী। রাজশাহী নগরীর রেলগেট এলাকায় অবস্থিত পুলিশ বক্সে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। একই সাথে থাকা রেলওয়ের গার্ড রুমেও তারা ভাঙচুর চালায়। এরপর সেখান থেকে গিয়ে ভদ্রা পুলিশ বক্সে গিয়ে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

এর আগে শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীরা রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হন। রুয়েটের সামনের তারা সড়ক অবরোধ করেন। একই সময় মহানগরীর নর্দান মোড় থেকে আরও একটি মিছিল এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে যোগ দেয়।

পরে আন্দোলনকারীরা রুয়েটের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তালাইমারি হয়ে ভদ্রা, স্টেশন ও রেলগেট এলাকায় আসেন। এখানে সমাবেশ করে ঘুরে দুপুর দেড়টার দিকে তালাইমারীতে ফিরে যায় আন্দোলনকারীরা। পথে যেতে ভদ্রা মোড়ে অবস্থিত পুলিশ বক্সে আগুন দেয়।

সকালে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোবারক পারভেজ বলেন, আন্দোলনকারীরা সকাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল করলেও পরিস্থিতি এখনও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তালাইমারীতে মহাসড়ক অবরোধ করা হলেও বিভিন্ন যানবাহন পাশের বিকল্প সড়ক ব্যবহার করছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রুয়েটসহ আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এর আগে সাইফুল ইসলাম নামে নগর পুলিশের এক গোয়েন্দা সদস্যকে (সিটিএসবি) পিটিয়ে মাথা ফাটিয়েছে আন্দোলনকারীরা। তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। শনিবার (৩ আগস্ট) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আন্দোলনকারীরা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা পুলিশ সদস্য সাইফুল ইসলাম আন্দোলনের অবস্থা দেখছিলেন। হঠাৎ করে আন্দোলনকারীদের কয়েকজন তাকে ঘিরে ধরে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে তার মাথা ফেঁটে গেলে কয়েকজন সাংবাদিক তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।

পরে আন্দোলনকারীরা সাইফুল ইসলামের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন। এ সময় পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছিলেন না।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ জামিরুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনকারী রেলগেট এলাকায় থাকা পুলিশ বক্সে ভাঙচুর চালিয়েছে। সেখানে থাকা রেলওয়ের গার্ড রুমও তারা ভাঙচুর করে। এ ঘটনার পর থেকে নগরীতে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ