রাণীনগরে চেয়ারম্যান পদে জামানত হারালেন পাঁচজন প্রার্থী

আপডেট: জুন ১, ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ণ

আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:


উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই উপজেলায়। এই নির্বাচনে নির্ধারিত ভোট না পাওয়ায় রাণীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ৯জন প্রার্থীর মধ্যে ৫জন প্রার্থী জামানত হারালেন।

বুধবার (২৯ মে) উপজেলার ৭০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ শেষে রাতে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম। এই ফলাফল ঘোষণা থেকে জানা যায় যে, ওই পাঁচজন চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভোট না পাওয়ার কারণে জামানাত হারালেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, নির্বাচন নীতিমালা অনুযায়ী প্রদত্ত ভোটের পনের ভাগের এক ভাগ ভোট প্রার্থীকে পেতে হবে তা না হলে সেই প্রার্থী জামানত হারাবেন। উপজেলায় ৭০টি কেন্দ্রে মোট ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৫জন ভোটারের মধ্যে ৬৭ হাজার ৫৬৬জন ভোটার ভোট প্রয়োগ করেন। এর মধ্যে বৈধ ভোটের সংখ্যা ৬৪ হাজার ৯৫৪টি আর বাতিলকৃত ভোটের সংখ্যা ২ হাজার ৬১২টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৭০ভাগ। চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী মোট প্রার্থী ছিলেন নয়জন।

নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রতিদ্বন্দ্বীকারী প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোট যদি মোট প্রদত্ত ভোটের ১৫শতাংশের কম হয় তাহলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত হবে। সেই হিসেবে রাণীনগর উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সর্বনিম্ন ভোট পেতে হবে ৪ হাজার ৫০৪টি, তাহলে তারা জামানত হারাবেন না।

কিন্তু চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মীর মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন শালিক পাখি প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৫০টি, সরদার মো. আব্দুল মালেক দোয়াত-কলম প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ৪৯৮টি, মো. ইয়াকুব আলী প্রামাণিক হেলিকপ্টার প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ১৪৯২টি ভোট, মো. আসাদুজ্জামান টেলিফোন প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৩৬৬টি এবং গোলাম রাব্বানী মোটরসাইকেল প্রতীকে ভোট পেয়েছেন ২৭২৪টি ভোট।

নীতিমালা অনুযায়ী রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী এই পাঁচজন প্রার্থী তাদের জামানত হিসেবে প্রতিজন ১ লাখ করে টাকা আর ফেরত পাবেন না। যদিও বা ভোট গ্রহণের কিছুদিন আগে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মীর মোয়াজ্জেম হোসেন লিটন নির্বাচন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৭জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের বেধে দেয়া নির্ধারিত সর্বনিম্ন ভোটের কিছু ভোট বেশি পাওয়ার কারণে তাদের কেউ জামানত হারাচ্ছেন না।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে সাবেক দু’বারের উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব মো. আনোয়ার হোসেন হেলালের ছেলে নতুন মুখের তরুণ প্রার্থী মো. রাহিদ সরদার কাপ-পিরিচ প্রতিকে ভোট ২৩ হাজার ৪৬৪ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে বিজয়ী হয়েছেন।

আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাবেক তিনবারের এমপি মরহুম ইসরাফিল আলমের ভাতিজা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্রনেতা আরেক নতুন মুখের তরুণ প্রার্থী মো. আসাদুজ্জামান আসাদ কৈ মাছ প্রতিকে ভোট পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৪৮ ভোট। আর আনারস প্রতিক নিয়ে ১০ হাজার ৩৭৫ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন মো. আনোয়ার হোসেন বিএ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ