বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সাব্বির সাত্তারসহ প্রশাসনে থাকা ৭৫ জন পদত্যাগ করেছেন। শুক্রবার (১৬ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দফতর। গেল আটদিনে তারা পদত্যাগ করেন
রেজিস্ট্রার দফতর সূত্রে জানা যায়, সর্বপ্রথম গত ৬ আগস্ট পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ ও জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পান্ডে।
এরপর ৮ আগস্ট একযোগে পদত্যাগ করেন প্রশাসনিক দায়িত্বে থাকা ৩৩ জন শিক্ষক। তাদের মধ্যে রয়েছেন, উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর ও অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, হিসাব পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন, কোয়ালিটি এসিউরেন্স সেলের পরিচালক ড. দুলাল চন্দ্র রায় এবং সহ-পরিচালক ড. মশিউর রহমান ও ড. আব্দুর রশিদ সরকার, কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক শহিদুল আলম, লিগ্যাল সেলের প্রশাসক সাদিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান গবেষণাগারের পরিচালক সায়েদ মুস্তাফিজুর রহমান, টিএসসিসির ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মিজানুর রহমান খান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসের প্রশাসক সাখাওয়াত হোসেন, রাকসুর কোষাধ্যক্ষ ড. জাফর সাদিক, কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার প্রশাসক অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, শহিদ মীর আব্দুল কাইয়ুম আন্তর্জাতিক ডরমিটরির ওয়ার্ডেন আতিউর রহমান, ওআইএ’র পরিচালক ড. মো. আজিজুর রহমান, অফিস অব. দি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের সহকারী পরিচালক ড. শামস্ মুহাম্মদ গালিব, ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের সহকারী পরিচালক যিনাতুল ইসলাম, বিজ্ঞান কারিগরি কারখানার প্রশাসক ড. মো. মাহাবুবুর রহমান, বিএনসিসির প্রফেসর আন্ডার অফিসার ড. শমরিতা আলম।
প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হকসহ প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্য পদত্যাগ করেছেন। সহকারী প্রক্টররা হলেন, ড. মাহফুজুর রহমান, ড. পুরনজিত মহালদার, ড. হাকিমুল হক, ড. জহুরুল আনিস, ড. সাইকা কবির মিতু, ড. হামিদুল হক, ড. জাকির হোসেন, ড. কনক পারভেজ, ড. রতন কুমার, ড. কামরুজ্জামান ও ড. আল মামুন।
এদিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭টি আবাসিক হলের মধ্যে ৯টি হলের প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করেছেন গত ১৪ আগস্ট। পাশাপাশি এ সকল হলের ৩১ জন আবাসিক শিক্ষকও পদত্যাগ করেছেন।
পদত্যাগ করা ৯ প্রাধ্যক্ষ হলেন- রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জয়ন্তী রানী বসাক, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. ফারজানা কাইয়ূম কেয়া, রহমতুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হাসনা হেনা, শহীদ জিয়াউর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নাসিরুদ্দিন, তাপসী রাবেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জুয়েলী বিশ্বাস, বেগম খালেদা জিয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক হোসনে আরা খানম, মন্নুজান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশিদা খাতুন, বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. শায়খুল ইসলাম মামুন জিয়াদ এবং শহীদ হবিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. শরিফুল ইসলাম।
পদত্যাগ করা ৩১ জন আবাসিক শিক্ষক হলেন- রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক ড. দুলাল চন্দ্র কবিরাজ, ড. ফেরদৌস আক্তার, ড. রনী রানী, ড. মো. মতিকুল ইসলাম ও সোমা দেব, বঙ্গমাতা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. ইসতিয়াক মাহফুজ, ড. সুমনা সরকার, ড. বেবী বিশ্বাস ও ড. মনিকৃষ্ণ মহন্ত, রহমতুন্নেসা হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. আমিরুজ্জামান, শারমিন আখতার, কে এম সাব্বির হাসান, জিয়াউর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক তপন কুমার বর্মণ, হেমন্ত কুমার ভদ্র, ড. মো. আবদুর রশিদ ও ওমর ফারুক।
শহীদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মো. সাইফুল ইসলাম, ড. মোহা. আশিক শাহরিয়ার, ড. ছালেকুজ্জামান খান ও মো. আরমান হোসেন, তাপসী রাবেয়া হলের আবাসিক শিক্ষক মো. তামজিদ হোসেন মোল্লা, মো. রাকিবুল ইসলাম, রাদিয়া আউয়াল তৃষা ও মো. ওমর ফারুক, বেগম খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষক আইরিন চৌধুরী, ড. শেখ সেমন্তী ও সঞ্জয় কুমার চক্রবর্ত্তী; মন্নুজান হলের আবাসিক শিক্ষক ড. খাইরুল ইসলাম, ড. মাহমুদা আকতার, ড. মো. শামীম হোসেন এবং ড. মো. ইসামঈল হোসেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. তারিকুল হাসান বলেন, ব্যক্তিগত কারণেই অধিকাংশ প্রাধ্যক্ষ ও আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।