বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে। গত বুধবার প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান।
অভিযোগ ওঠা আরিফুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অফিস সহায়ক। গত বুধবার বিকেলে ‘আই’ ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) পরীক্ষা চলাকালে আরিফের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে বিভাগের শিক্ষকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে প্রক্টরের কাছে তুলে দেন। এছাড়া আরিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রক্টর বরাবর বিভাগ থেকে চিঠি দেয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মশিহুর রহমান জানান, আরিফুল ইসলামের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় গত বুধবার বিকেল ৩টার দিকে তাকে বিভাগের অফিসে ডাকেন শিক্ষকরা। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোনে ভর্তি করিয়ে দেয়ার বিষয় টাকা লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায়। পরে প্রক্টর দফতরে প্রক্টরিয়ার বডির সদস্য, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, আরিফের মোবাইল ফোনের তথ্য যাচাই-বাছাই করে দেখা হয়েছে। সে ভর্তি করিয়ে দেয়ার কথা বলে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়। সে একটা প্রতারক চক্রের সদস্য।
এছাড়া আরিফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিভাগ থেকে প্রক্টর বরাবর চিঠি দেয়া হয়েছে। প্রক্টর সেই চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর পাঠিয়েছে। রেজিস্ট্রার দফতর তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। আর বাইরের যদি কোনও যোগসূত্র থাকলে তা পুলিশ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান।