নিজস্ব প্রতিবেদক:রোজার মাস ঘিরে নিত্যপণ্যের বাজারে সবজিতে কিছুটা স্বস্তি মিললেও আবশ্যক পণ্যে এখনও অস্বস্তি চলছে ক্রেতাদের মধ্যে। বাজারে সবজিসহ কয়েকটি পণ্যের দাম কিছুটা কমেছে। তবে চাল, ডাল, তেল, চিনি, খেজুরসহ পণ্যগুলোর দাম এখনও চড়া।
শুক্রবার (২২ মার্চ) রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বাজার ও খুচরা দোকান ঘুরে দেখা যায়, বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল (বোতল) বিক্রি হচ্ছে ১৬৩-১৬৫ টাকায়। প্রতি লিটার পাম অয়েল সুপার বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। বড় দানার মসুর ডাল ১০৫ টাকা কেজিতে, মাঝারি দানার মসুর ডাল প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়।
রোজার মাস সাদা মুড়ি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, যা রোজার আগে ৭০ টাকা ছিল। মান এবং বাজারভেদে প্রতি কেজি বেসন বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ১০০ টাকা, যা আগে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হতো। এছাড়া ইফতারে শরবত তৈরিতে ব্যবহৃত ইসবগুলের ভুসি, ট্যাং, রুহআফজা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ইসবগুলের ভুসি রোজার আগে ১৬০০ টাকা বিক্রি হলেও এখন ২১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রোজার মাস প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ট্যাং বিক্রি হয়েছে ৮৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৮০০ টাকা। বড় সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকায়, যা আগে ৩৫০ টাকা ছিল। ছোট সাইজের রুহ-আফজা বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩০০ টাকা, যা আগে ২০০ টাকা ছিল।
রোজার মাস বেগুন, শসা এবং পেঁয়াজের দরে বেশ ছন্দ-পতন দেখা যায়। রোজার শুরুতে লম্বা বেগুন ছিলো ৭০ থেকে ৯০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি। শসার কেজি রোজার শুরুতে ছিলো ৬০ টাকায়। ১০-১৫ দিন আগে লাউয়ের পিস কিনতে খরচ করতে হয়েছিল ৫০ টাকা। সেই লাউ এখন বাজারে মিলছে ২০ থেকে ৩০ টাকায়। ঢেঁড়স ও পটল ৪০ টাকা কেজিতে।নাগালে রয়েছে কাঁচামরিচও, কেজি মিলছে ৬০ টাকায়।
রোজার মাস প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা, যা সাত দিন আগে ৮০ টাকা ছিল। দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি, যা আগে ১৬০ টাকা ছিল। আমদানিকরা আদা প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ টাকায়, যা সাত দিন আগে ২৫০ টাকা ছিল। এছাড়াও লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা হালি ও সাদা ডিম ৪০ টাকা হালিতে।
রোজার মাস মাংসের বাজার স্থির রয়েছে। বয়লার মুরগি ২০০ টাকা কেজিতে। সোনালি জাতের মুরগির কেজি কিনতে খরচ করতে হবে ৩০০ টাকায়। দেশি মুরগি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা। গরুর মাংসের কেজি পাওয়া যাচ্ছে ৭৫০ টাকায়। প্রতিকেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা।
রোজার মাস এছাড়াও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি লাল আপেল ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ২৬০-২৭০ টাকা ছিলো। কমলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা কেজি, যা আগে ২৮০-৩০০ টাকা ছিলো। প্রতি কেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ৩১০ টাকা ছিলো। প্রতি কেজি বরই বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, যা আগে ৭০-৮০ টাকা ছিলো। পেয়ারার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা, যা আগে ৬০-৭০ টাকা ছিলো।
রোজার মাস তবে গত এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতি কেজি চালের দাম ১-২ টাকা বেড়েছে। যেমন- মাঝারি জাতের পাইজাম চাল কেজিতে ৩ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিকন চাল (মিনিকেট) প্রতিকেজি ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নাজিরশাইল প্রতিকেজি মানভেদে ৭০-৮৫ টাকা। মোটা ব্রি-২৮ চাল ৫৬-৬০ টাকা কেজি।
রোজার মাস বাজারে পাঙাশ মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়, চাষের কই প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়, রুই প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, চাষের শিং মাছ প্রতি কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায়, দেশি ছোট কই প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকায়, পাবদা প্রতি কেজি মানভেদে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়, শোল মাছ একটু বড় সাইজের প্রতি কেজি ৯০০ টাকায়, চিংড়ি প্রতি কেজি ৮০০ টাকায়, কাতলা মাছ প্রতি কেজি ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকায়, বোয়াল প্রতি কেজি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় ও টেংরা মাছ ছোট সাইজের প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।