রোববার স্কুল খুললেও আজ সোমবার বন্ধ! প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা থাকবে

আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহীতে সপ্তাজুড়ে সর্বোচ্চ তপামাত্রা ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে। এমন তাপদহের কারণে এক সপ্তাহ বন্ধের পরে রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলেছে স্কুলগুলো। তবে স্কুলগুলোতে তুলনামূলক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। রোববার স্কুল খুললেও আজ সোমবার (২৯ এপ্রিল) প্রাথমিক বাদে স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

জানা গেছে, দেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ঢাকাসহ দেশের পাঁচটি জেলার প্রাথমিক স্কুল বাদে সব মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সোমবার বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়া বাকি জেলাগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা, যশোর, খুলনা ও রাজশাহী।

রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও আবহাওয়া অধিদপ্তরের সঙ্গে পরামর্শ করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এসব এলাকার যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আছে, সেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ চাইলে খোলা রাখতে পারবে।

প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কারণে ৭ দিন এবং ইদ, রোজার দীর্ঘ ছুটি শেষে আজ প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান খুলেছে। একদিন ক্লাসের পরই কয়েকটি জেলায় নতুন করে ছুটি’র ঘোষণা হলো।

এর আগে দুপুরে ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছিলেন, কোনো নির্দিষ্ট এলাকার তাপমাত্রার জন্য সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের বিপক্ষে তিনি। তবে কোনো কোনো জেলায় যদি তা অসহনীয় পর্যায়ে তাপ-প্রবাহ, সেখানে বিদ্যালয় নিজস্ব-পদ্ধতিতে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা আঞ্চলিক পর্যায়ে-আলোচনা করে সেই জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে পারে।

অপরদিকে, রাজশাহী নগরীর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। এমন অবস্থায় স্কুল খুলে আবার বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে স্কুল বন্ধের ঘোষণা অনেক শিক্ষকই জানে না।

জানা গেছে, ইদের ছুটি শেষে তাপদাহে এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল সারা দেশের মতো নগরীর সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো। তাপদাহের কারণ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পরে স্কুল খোলার পড়ে শিক্ষার্থীরা রোববার স্কুল আসে।

নগরীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, প্রাথমিকের ক্লাসগুলোতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ভালো ছিল। শিক্ষার্থীদের নিজের সাথে খাবার পানি নিয়ে ক্লাসে এসেছে। একই সাথে শিক্ষার্থীদের ব্রেঞ্চে নিজেদের মধ্যে জায়গা ফাঁকা রেখে বসানো হয়েছে। যাতে করে শিক্ষার্থীরা গরমে অস্বস্তি বোধ না করে।

শিশু শিক্ষার্থী শাপলা খাতুন বলেন, রোদ আর গরমের কারণে স্কুল ছুটি ছিল। এখন খুলেছে। এখন থেকে প্রতিদিন ক্লাস হবে। রোদ ও গরমের কারণে আব্বু স্কুলে আসতে নিষেধ করেছিল। তার পরেও এসেছি, ছাতা মাথায় দিয়ে।

শিক্ষার্থী রাকিবুল জানায়, বোতলে স্যালাইন মেশানো পানি নিয়ে এসেছি। গরম লাগলে সেই পানি পান করব। স্কুলে এসে দেখছি ক্লাসে অনেকেই এসেছে।
অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষ সাইফুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের তুলনামূলক উপাস্থিতি কম ছিল। তাপদাহকে কেন্দ্র করে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যে সব নির্দেশনা দিয়ে সেগুলো আমরা মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করছি।

এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম বলেন, রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছিল। সোমবার আবার বন্ধের খবর শুনছি। এখন বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। তবে সকালে নগরীর গোরহাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version