শিক্ষার মান উন্নয়ন হলেও শিক্ষক সঙ্কটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত শিবগঞ্জের শিক্ষা অফিস

আপডেট: অক্টোবর ২১, ২০২৩, ১২:২৫ অপরাহ্ণ

শিবগঞ্জ(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)সংবাদদাতা:


শিবগঞ্জে অফিসার ও শিক্ষক সঙ্কটের মধ্য দিয়ে চলছে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের কাজ। সহকারী শিক্ষা অফিসার, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক পদে শূন্য রয়েছে প্রায় একশো টি। বর্তমানে এ অফিসে ৯ জন সহকারী শিক্ষা অফিসারের স্থলে কর্মরত আছেন মাত্র পাঁচ জন। ২৪০ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৯টি এবং সহকারী শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে ৮৫টি।

তাছাড়া পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে পাঁচজন শিক্ষক ডেপুটেশনে রয়েছেন। উপজেলার বাইরে বদলি হয়েছেন ১৩ জন। পদ্মা নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে চরবাগডাঙ্গা. হাসানপুর ক্যাথাপাড়া, নামোজগনাথপুর ও দিয়াড় পশ্চিম জাহাঙ্গীর পাড়াÑ এ চারটি বিদ্যালয় স্থানান্তরিত করে টিনশেড দিয়ে ঘর তৈরি করে কোনোক্রমে কার্যক্রম চলছে। লাভাঙ্গা সুন্দরপুর, সাবেক লাভাঙ্গা ও হাঙ্গামা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এখনো পরিত্যক্ত ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে ক্লাস।

এখনো অনেকগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাছাড়া বিদ্যালয় ছুটির পর প্রাচীরবিহীন বিদ্যালয়গুলির প্রাঙ্গনে বখাটেদের আড্ডা বসে বলে জানা গেছে। পদ্মা নদীর ওপারে দূর্গম এলাকায় প্রায় ৩৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, যে গুলিতে কোনো শিক্ষক স্থায়ীভাবে থাকে না।

চেষ্টা তদবির করে অন্যত্র বদলি হয়ে চলে চলে যান। ফলে এ সমস্ত প্রাথমিক বিদ্যলয়ে কাক্সিক্ষত শিক্ষা অর্জিত হয় না বলে এ সমস্ত এলাকার অভিভাবকদের অভিযোগ। তাদের দাবি হলো- যারা দূর্গম এলাকায় শিক্ষকতা করছেন তাদের জন্য যাতায়াত ভাতা, স্থায়ীভাবে থাকার ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রাহণের মাধ্যমে তাদের স্থায়ীকরণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পরিমল ঘোষ জানান, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের শূন্য পদগুলি পূরণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহতি করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে সুগুলি পুনঃনির্মাণের জন্য আবেদন করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানাবিধ পদক্ষেপের কারণে শিবগঞ্জে শিক্ষার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

গত এক বছরে প্রায় প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষক-অভিভাবকদের নিয়ে উঠান বৈঠক ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক উদ্বৃদ্ধকরণ সভা করা হয়েছে। গত পাঁচ বছরে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু গত দুই বছরে ট্যালেন্টপুলে ১৩৫ জন ও সাধারণ কৌটায় ১৪৫ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। দূর্গম এলাকায় শিক্ষকদের স্থায়ীকরণের ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের নতুন ভবন ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের কাজ আগামী কিছুদিনের মধ্যে শতভাগে উন্নীত হবে।