শেখ রাসেল পুনর্বাসন কেন্দ্র নাটোরে স্থানান্তর বন্ধের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকপত্র

আপডেট: ডিসেম্বর ১১, ২০২৩, ৯:২১ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:


রাজশাহী থেকে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুর্নবাসন কেন্দ্র (ছেলে ইউনিট) নাটোরে স্থানান্তর বন্ধের দাবিতে রাজশাহী জেলা প্রশাসক এবং প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকপত্র প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসককে শামীম আহমেদের হাতে স্মারকপত্র তুলে দেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর হাতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকপত্র তুলে দেন রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি লিয়াকত আলী, সাধারণ সম্পাদক জামাত খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবদুল মান্নানসহ আরও অনেকে।

স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয়, শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র রাজশাহীতে আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। আমরা অসহায়, দিনমজুর, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী, আমাদের জীবন-জীবিকা অত্যন্ত নিম্নমানের। আমাদের সন্তানেরা রাজশাহী শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রে অবস্থান করায়, আমরা বিভিন্ন সময় বিপদে আপদে আমাদের সন্তানদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারি। আমাদের সন্তানরা আত্মতৃপ্তি পায়। সন্তানদের সুশিক্ষা ও সুশৃঙ্খল জীবন-যাপনে অনুপ্রাণিত করে। যদি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র রাজশাহীর একটি ইউনিট (ছেলে শিশু) দুঃস্থ ও ভবঘুরে প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নাটোরে স্থানান্তর করা হলে সর্বোস্তরের জনগণের মনে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।

এছাড়াও স্মারকপত্রে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান তিলোত্তমা রাজশাহী মহানগরের পরিধি বৃদ্ধি পাচ্ছে তা ছাড়া বিভাগের একমাত্র নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা কেন্দ্র হলো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। যদিও মহানগরের ও বিভাগের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়নি। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগীদের শয্যাসংখ্যা বৃদ্ধি, চিকিৎসক ও জনবল বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে সর্বসাধারণের উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হবে।

একই সাথে ১০ মাস পূর্বে উদ্বোধনকৃত রাজশাহী শিশু হাসপাতালটি এখনও তার কার্যক্রম চালু না করায় এলাকার শিশুরা উন্নত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাই শিশুদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে রাজশাহী শিশু হাসপাতালটির কার্যক্রম চালুর জন্য আবেদন করছি।

এছাড়াও বলা হয়, দেশের শস্যভাণ্ডারখ্যাত রাজশাহী অঞ্চলকে পানির তীব্র সঙ্কট ও মরুকরণের হাত থেকে রক্ষার স্বার্থে গভীর ও অগভীর নলকূপের মাধ্যমে পানি উত্তোলন বন্ধ করে ভূ-উপরিস্থ পানি অর্থাৎ পদ্মা নদীর পানিকে ব্যবহারের জন্য উত্তর-রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা জরুরি। রাজশাহী অঞ্চলকে পানির তীব্র সঙ্কট ও মরুকরণের হাত থেকে রক্ষা করতে কৃষিতে স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দ্রুত উত্তর-রাজশাহী সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রার্থনা করা হয়।

Exit mobile version