সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
সুজিত সরকার
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্রীয় কাজে প্রায় দু’ সপ্তাহ বিদেশে কাটিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরেছেন। এবারের সফরের সবচেয়ে বেশি অর্জন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্র পরিচালনায় বহুমাত্রিক অবদান রাখার জন্যে জাতিসংঘ পদক ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ান’ ও ‘এজেন্ড অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’-এ ভূষিত হন। এই বিরল সম্মান লাভের জন্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। জানাই সুস্বাগত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও প্রতিক্রিয়াশীল ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তানের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে আপোসহীস ও ত্যাগী লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে শৃঙ্খলমুক্ত করে একটি স্বাধীন-সার্বভৌম ভূ-খ- সৃষ্টি করার নেতৃত্ব দেয়ায় তিনি ‘জাতিরজনক’-এর মতো গৌরবময় খেতাবে ভূষিত হন। স্বাধীন বাংলাদেশ অর্জনের লক্ষ্যে তিনি বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দেন এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। সমগ্র যৌবন অতিক্রম করেন পাকিস্তানি কারাগারে। মুক্তিযুদ্ধের নয় মাসও তিনি পাকিস্তানি কারাগারে বন্দি জীবন অতিবাহিত করেন। তাঁর সাংগঠনিক দক্ষতা, সাহসীকতা এবং সুদক্ষ নেতৃত্বের জন্যে তিনি ‘জুলিও কুঁড়ি’ খেতাব অর্জন করেন। এমন পিতার কন্যা দীর্ঘজীবী হলে কিংবা সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে জীবিত থাকলে আমাদের বিশ্বাস, তিনি আরো বড়ো মাপের খেতাব অর্জন করবেন। তিনি দীর্ঘজীবী হোন এবং এই দেশটাকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শের আলোকে পরিচালিত করে আরো উন্নয়নের সিঁড়ি বাঁধুন, দেশবাসী তাঁর কাছে সে আশা করে।
আমরা জানি, পঁচাত্তরের পর বাঙালি জাতিকে পেছনের অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছিলেন জিয়াউর রহমান। বেগম জিয়া তার স্বামীর লক্ষ্য ষোলকলায় পূর্ণ করেছিলেন যুদ্ধাপরাধীদের নাগরিকত্ব এবং মন্ত্রিত্ব দিয়ে। জিয়াও শাহ্ আজিজের মতো যুদ্ধাপরাধীকে তার প্রধান উপদেষ্টার (প্রধানমন্ত্রী) পদে অধিষ্ঠিত করেন। রেলমন্ত্রিত্ব দেন যুদ্ধাপরাধী আব্দুল আলীমকে, যে যুদ্ধাপরাধীর অভিযোগে কারাগারে বন্দি অবস্থায় মারা যায়। ধর্মমন্ত্রিত্ব দেন আরেক যুদ্ধাপরাধী মৌলানা মান্নানকে, যে দেশের খ্যাতনামা চক্ষু চিকিৎসক আব্দুল আলীমকে হত্যায় সহযোগিতা করেছিলো। সামরিকতন্ত্র আর ধর্মান্ধতন্ত্রের এই সুসম্পর্ক সম্পদে মালিকানা প্রতিষ্ঠার সমান্তরালে। চতুর্দশ শতকে ইউরোপ আন্দোলন করে ধর্মকে রাষ্ট্র পরিচালনার অঙ্গন থেকে ভাটিকান সিটির চৌহদ্দির ভেতরে সরিয়ে দেয়। তার জন্যে অনেক রক্তক্ষয় হয়েছে। অনেক গুণিজনকে আত্মাহুতি দিতে হয়েছে। তারপরও ধর্মীয় মৌলবাদ কখনোই তাদের কুচক্রান্তে সফল হয়নি। আজকের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির এই বিপুল উদ্ভাবনের সময়ে তারা বিজ্ঞানকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করবে কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই আর সফল হবে না। হলেও তারা রাষ্ট্র পরিচালনায় ব্যর্থ হবে। জনগণের আকাক্সক্ষা পূরণে সক্ষম হবে না।
বাংলাদেশে তো যে কোনো রাজনীতিক দলের থেকে জামাত-শিবিরের অস্ত্র-অর্থ বেশি। তাদের সংগঠন অর্থ ও অস্ত্রের শক্তিকে বেশ মজবুত হলেও তারা যেহেতু মানবতাবিরোধী এবং জনগণের আকাক্সক্ষার বিপরীতে কার্যক্রম পরিচালনা করে তাই তাদের অপ-রাজনীতি জনগণই প্রতিরোধ করবে। অসদুদ্দেশ্য ব্যবহৃত হয় এবং তারা যেহেতু মানবতা আর শান্তির বিরোধী তাই তারা এতো শক্তি নিয়েও ব্যর্থ হচ্ছে বারংবার। তাদের ভোটারের সংখ্যা শতকরা পাঁচ শতাংশেরও কম। তারপরও তাদের যে আস্ফালন দেশবাসী লক্ষ্য করেছে, তাতে মনে হয়েছে, তারা ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তাদের কেশাগ্র স্পর্শ করার সাহস ও ক্ষমতা কারো নেই। দেশবাসী ইতোমধ্যে জেনেছে, বঙ্গবন্ধু-কন্যা শেখ হাসিনা তাদের কেবল কেশই তার করতলে ধরেননি, ধরে বিচারের কাঠগোড়ায় তুলে দেশের প্রচালিত আইনানুযায়ী বিচার করে শাস্তি কার্যকর করেছেন। সাকা চৌধুরীর মতো আন্তর্জাতিকভাবে মাফিয়া ডন হিসেবে পরিচিতকেও বর্তমান সরকার সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়েছেন। জামাতের অর্থদাতা, মীর কাশেম হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করেও বিচারের রায়কে কোনোভাবে ব্যর্থ করতে পারেনি।
বঙ্গবন্ধুও এদের বিচার শুরু করেছিলেন। দেশে ৭৪টি ট্রাইব্যুনাল করেছিলেন। যাদের নামে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছিলো না, তিনি তাদের ক্ষমা করেছিলেন। কিন্তু সাড়ে ১১ হাজারের বিরুদ্ধে খুন-ধর্ষণ-লুটপাট-অগ্নি সংযোগ ইত্যাদি অভিযোগ ছিলো, তিনি তাদের ক্ষমা করেননি, কারাগারে রেখে বিচারের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। কুষ্টিয়ার চিকন আলীর বিচারের রায়ও তিনি বাস্তবায়ন করেন। গোলাম আযমসহ নেতৃত্ব পর্যায়ের নেতারা অনেকেই দেশ ত্যাগ করেছিলো। অনেকে আবার দেশের অভ্যন্তরে নাম পাল্টিয়ে মিথ্যে ঠিকানা দিয়ে অন্যাঞ্চলে বসবাস করেছে। তারা গোপনে থেকে অতি বাম কিছু দলকে অস্ত্র্র ও অর্থ দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়েছে। শুরু করেছে ‘শ্রেণিশত্রু খতমে’র মতো নৃশংস কাজ। পুড়িয়েছে পাটের গুদাম, চালের কারখানা। লুট করেছে রেশনের পণ্য। সব কিছুই তারা করেছে বঙ্গবন্ধু সরকারকে বিপর্যয়ে মুখে ঠেলে দেয়ার জন্যে। তারপর যখন তারা সাফল্যলাভে ব্যর্থ হয়, তখন জিয়াকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে তাঁকে সপরিবার হত্যা করে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশ অর্জনের যে লক্ষ্য, সে স্বপ্ন, তা ব্যর্থ হয়। ফিরে আসে একাত্তরের ঘাতক-দালালেরা। জনবিচ্ছিন্ন সামরিক সরকার ঘাতক-দালালদের সমর্থনে নিজেদের বলীয়ান মনে করে।
ক্ষমতাবানেরা অর্থ-বিত্তে-বৈভবে বলীয়ান হওয়ায় জনগণ থাকে সবকিছু থেকে বঞ্চিত। তাদের শ্রম ও ফসলের মূল্য তারা কোনোদিনই পায়নি। ঘোচেনি বেকারত্ব। পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো মৌলিক সুবিধা ও অধিকার।
মানুষকে সেই অধিকার দেয়ার লক্ষ্যে যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসেছে, তখনই এই সামরিক ও ধর্মান্ধ যুদ্ধাপরাধী চক্র দেশে-বিদেশে নানা ষড়যন্ত্র করেছে। পদ্মাসেতু নির্মাণের প্রস্তুতিকালে কী হলো? বিশ্বব্যাংক অভিযোগ তুললো, যোগাযোগ মন্ত্রী ঘুস নিয়েছেন। বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের সুরে সিদ্ধান্ত জানালো বিশ্বের যে সব অর্থব্যবসায়ী সংস্থা, তারাও। তারা কেউ তদন্ত করে দেখেওনি ঘটনা আদৌ সত্যি না মিথ্যে। অর্থ না দিতেই যখন এমন অভিযোগ উত্থাপিত হলো তখন শেখ হাসিনা যোগাযোগ মন্ত্রীকে পদত্যাগ করালেন এবং ঘোষণা দিলেন ‘আমরা নিজেদের অর্থেই পদ্মসেতু নির্মাণ করবো।’ সে উন্নয়নের কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালের মধ্যে ওই সেতুর ওপর দিয়ে গাড়ি চলবে। এখন শুরু হয়েছে, সুন্দরবন ধ্বংস করে বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করা যাবে না। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আগে আমেরিকান মানবাধিকার সংস্থা, জাতিসংঘ, ইউরোপ-আমেরিকার কিছু সংসদ সদস্য এবং সংস্থা বিচারের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা প্রকারান্তরে বাধার সৃষ্টি করেন। পাকিস্তান-সৌদি আরব তো আরেক ধাপ এগিয়ে। যতোবার যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি হচ্ছে, ততোবারই তারা সংসদে দাঁড়িয়ে শাস্তির নিন্দা করেছে, ফাঁসির আসামিকে তাদের রাষ্ট্রীয় খেতাবও দিয়েছে। বলেছে, যুদ্ধাপরাধীরা তাদের বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত বন্ধু। তারা বিচার মানে না। অবশ্য পাকিস্তান না মানলে বাংলাদেশের কিছু আসে যায় না। বিচার যে গণতান্ত্রিক ও মানবিক মূল্যবোধের আলোকে সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামীতেও হবে, এ কথা নিশ্চয়তার সঙ্গে বলা যায়।
২০০৯-এর নির্বাচনে ১৪ দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়া পর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র একের পর এক ষড়যন্ত্র করেছে। যেমন-বিডিআর বিদ্রোহ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। জামাত-বিএনপি ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ মোট তিনমাস বিরতিহীনভাবে পেট্রোলবোমা ফুটিয়ে নিরস্ত্র মানুষকে হত্যা করেছে, পুড়িয়েছে। তথাকথিত ব্লগার-নাস্তিক অভিযোগে একের পর এক গুণিমানুষকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। তাদের অপরাধপ্রবণ কিছু নেতার স্বেচ্ছা আত্মগোপনের দায় ১৪ দলের সরকারের ওপর চাপিয়ে দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিলো। কিন্তু যখন দেখা গেলো সেই নেতা স্বেচ্ছা এবং বিনা পাসপোর্ট ও ভিসায় ভারতের মেঘালয়ে আত্মগোপন করে আছে, তখন সে অভিযোগের জবাব কি তাদের দেয়া উচিত নয়। একের পর বিদেশি নাগরিককে তারা হত্যা করেছে। ইতালি-জাপানি নাগরিককে অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। হলি অর্টিজানেও একই ঘটনা ঘটিয়ে তারা সরকারকে ব্যর্থ হিসেবে প্রমাণ করতে চেষ্টার শেষ রাখেনি। কিন্তু বিশ্ব কাকে ব্যর্থ প্রমাণ করলো যখন শেখ হাসিনা পুরস্কৃত হলেন?
আসলে বাঙালি আবেগপ্রবণ জাতি। হয়তো কখনো অতীতটাকে ভুলে যায়, কোনো নেতা-নেত্রীর অসদাচরণের কারণে হাল ছেড়ে নিরাশায় ভোগে। তবু কেউ কেউ তো অতীতের শিক্ষা থেকে সমৃদ্ধ হয়ে দেশটাকে, কর্মজীবী মানুষগুলোকে ভালোবেসে দেশবাসীর গৌরবময় অর্জনের আলোকে দেশের মর্যাদা বৃদ্ধির চেষ্টা করেন। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে উন্নয়ন কর্মসূচি উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেখানে মিথ্যেচার, নির্বাচন এবং উন্নয়ন নিয়ে পরামর্শের পরিবর্তে যারা নিজেদের স্বার্থ সংরক্ষণের চিন্তায় দুরাচারবৃত্তির ছক আঁকছে, এই দেশের মানুষ কি তাদের মেনে নেবে? আজকে বিদ্যুৎ সমস্যা অনেকটাই কমে এসেছে। খাদ্য ঘাটতি নেই। এ দেশে কোনো মানুষ অন্তত যারা কাজ করে, তারা কেউ না খেয়ে থাকে না। কৃষক পাটের মূল্য পেয়ে আজকে উল্লসিত। ধান-গমের মূল্যও কৃষকদের উৎপাদন ব্যয়ে উৎসাহিত করে। সারের মূল্য ও সরবরাহ অন্য সরকারের তুলনায় খুব সুলভ। বছরের শুরুর মাসের পহেলা তারিখে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের হাতে যে সরকার বই তুলে দিতে পারে, তার কি এই আয়োজন সাফল্যেে ইঙ্গিত করে না? জিয়া-এরশাদ-খালেদা কি এমন আয়োজন তাদের একুশ বছরে কখনো করতে পেরেছেন? বর্তমান সরকার একসঙ্গে প্রায় ত্রিশ হাজার পুলিশ ও প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন। সবার বেকারত্ব হয়তো ঘুচবে না, ত্রিশ হাজার শিক্ষিত যুবক-যুবতীর একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা তো হচ্ছে। সেটা কী খুব কম?
তাহলে কেনো এই জঙ্গি উৎপাদন? সরকারকে নৈরাজ্য দমনে ব্যর্থ প্রমাণ করে তৃতীয় শক্তিকে ক্ষমতায় বসানো তাদের লক্ষ্য। তাহলে তারা যতো অপরাধ করেছে, সে সব অপরাধ থেকে নিস্কৃতির প্রকল্প বাস্তবায়ন, এই তো? পাকিস্তানকে আজকে আমেরিকার মতো দেশের কতিপয় সিনেটর জঙ্গি ও সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের সঙ্গে সকল সম্পর্ক ছেদ করে সহযোগিতা বন্ধেরও দাবি তুলেছেন। তাহলে বাংলাদেশ যেখানে প্রতিনিয়ত জঙ্গির বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে, সেখানে জঙ্গিবাদীরা কী করে রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা পাবে, সেটাই এখন ভেবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমাদের ধারণা শেখ হাসিনা সে বিষয়ে সম্পূর্ণ সচেতন। তিনি দেশ বিরোধী এই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবেন এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন। ইতোমধ্যে তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থানে আরো প্রাতিষ্ঠানিক করে তোলার উদ্যোগ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে দেশ পরিচালনা, সশস্ত্র ধর্মান্ধ জঙ্গি দমন, পদ্মাসেতুর মতো একটি বিশাল প্রকল্প বাস্তবায়ন, বেকারত্ব নিরসন, শিক্ষার প্রসার, বিদুৎ প্রকল্প স্থাপন এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তার জন্যে ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ান’ ও ‘এজেন্ড অব চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’ তাঁরই প্রাপ্য। আশা করি, আগামী দিনে তিনি ‘শান্তিতে নোবেল’ পুরস্কারেও ভূষিত হবেন। আমরা তাঁর সাফল্য ও সুস্বাস্থ্য কামনা করি।