সমন্বিত উদ্যোগে সঠিক মান বজায় রাখলে টেকসই বিশ^ বিনির্মাণ সম্ভব : বিভাগীয় কমিশনার

আপডেট: অক্টোবর ১৪, ২০২৪, ৭:২৯ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেছেন, সমন্বিত উদ্যোগে সঠিক মান বজায় রাখলে টেকসই বিশ^ বিনির্মাণ সম্ভব। আমরা শুরুটাই করি যে, ভেজালটা কিভাবে দেওয়া যায়। কত মুনশিয়ানার মাধ্যমে দেওয়া যায়। এই চিন্তা থেকে আমাদের বের হতে হবে। এজন্য আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।



সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব মান দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলেক্ষ্যে রাজশাহী বিএসটিআই সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। বিএসটিআই এর রাজশাহী বিভাগীয় অফিস এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ভেজাল খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করার কারণে পৃথিবীতে একশ কোটি লোক প্রতিবছর মারাত্মকভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়, তারমধ্যে ১৫ কোটি লোক মারা যায়। ভেজাল খাদ্য খেয়ে বাংলাদেশে ৬০ শতাংশ লোক মারাত্মকভাবে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তারমধ্যে ষাট ভাগ লোক দারিদ্র সীমার নিচে নেমে যায়। এদেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যু দীর্ঘমেয়াদী বা অসংক্রমিত রোগে আক্রান্তের কারণে হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, মান যদি ঠিক না রাখা যায় তাহলে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা যাবে না। বিএসটিআইয়ের সক্ষমতা বাড়িয়ে ভেজাল রোধ করে সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হবে। একসময় বাটা জুতা খুবই জনপ্রিয় ছিল। কিন্তু ভেজালযুক্ত বাটা হয়ে যায় বালা। এভাবেই আমাদের দেশে নিখুঁতভাবে ভেজাল মেশানো হয় যেটা মানুষ টের পায় না।

তিনি আরও বলেন, তাবৎ পৃথিবীতে ব্র্যান্ডিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমাদের ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ ব্র্যান্ডিং প্রচার করতে হবে। ব্র্যান্ডিং মানে আপনার উপর পুরো আস্থা থাকতে হবে। যেটা আর কেউ করছে না- এটা গুণে, মানে ও ওজনে কোথাও কোনো ঘাটতি থাকতে পারবে না। তিনি সকলকে প্রতারণার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বের হয়ে আসার আহবান জানান।

রাজশাহী বিএসটিআই’র পরিচালক জোহুরা সিকদার এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাঃ যোবায়ের হোসেন, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু।

অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের অধ্যাপক এম এ রাশেদ কবির।
উল্লেখ্য যে, পণ্য এবং সেবার মানের বিষয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রতি বছর বিশ^ব্যাপী এ দিবসটি পালন করা হয়। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘ঝযধৎবফ ারংরড়হ ভড়ৎ ধ নবঃঃবৎ ড়িৎষফ’ অর্থাৎ ‘সমন্বিত উদ্যোগে টেকসই উন্নত বিশ্ব বির্নিমাণে মান’।

 

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ