রবিবার, ৪ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
ভারতের অভিযোগ রয়েছে, সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। অনুপ্রবেশকারীদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে নয়াদিল্লি অভিযোগ করলেও ঢাকা বরাবরই বলে আসছে, এই অনুপ্রবেশকারীরা বাংলাদেশের নাগরিক নয়।
তবে বন্য হাতির নিরাপদ যাতায়াতের জন্য এবার সীমান্তের দরজা খুলে রাখার বিষয়ে বৃহস্পতিবার ঐকমত্যে পৌঁছেছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।
আন্তসীমান্ত হাতি সংরক্ষণের বিষয়ে শিলংয়ে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার ভারত-বাংলাদেশ বৈঠকে হাতির অবাধ যাতায়াতের বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো ছাড়াও আরও ১৭টি বিষয়ে একমত হয় দুই দেশ।
ভারতের বন্যপ্রাণী অধিদফতরের পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, বন্যপ্রাণী একস্থান থেকে আরেক স্থানে যাবে, এটা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সীমান্তে কাঁটাতারের কারণে, হাতি স্থান পরিবর্তনের সময় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। হাতির অবাধ যাতায়াত নিশ্চিতের জন্যই সীমান্তে দরজা তৈরি করা হচ্ছে।
কর্মকর্তারা ইতোমধ্যেই মেঘালয়ের ১২টি এবং আসামের একটি স্থান চিহ্নিত করেছেন। বন্য হাতি ওইস্থানগুলোতে তৈরি গেট দিয়ে উভয় দেশে যাতায়াত করতে পারবে।
প্রতিবছর শীতকালে প্রায় ২০টি হাতি ভারত থেকে বাংলাদেশে চলে আসে। পরে আবার সেগুলো ভারতে ফিরে যায়।
সিদ্ধান্ত দাস বলেন, আমরা এইসব প্রাণীদের নজরে রাখব এবং সীমান্তের উভয়দিকে নিরাপত্তা নিশ্চিত করব; যেন কোনোখানেই হাতির কোনো সমস্যা না হয়। উভয় দেশের সীমান্তে গেট তৈরির জন্য কাঁটাতারের বেড়া কাটার ব্যাপারে আগামী বছর ঢাকায় তৃতীয় দফায় আলোচনার সময় সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রায় ৯ হাজার হাতি রয়েছে; তার মধ্যে এক হাজার আটশ হাতি মেঘালয়ে রয়েছে। কখনও কখনও সঙ্গী আর খাবারের খোঁজে বাংলাদেশে চলে আসে এসব হাতিদের কেউ কেউ।
গত বছর আসামের ধুবড়ি থেকে ব্রহ্মপুত্র দিয়ে বন্যার পানিতে বাংলাদেশে ভেসে আসে একটি বন্য হাতি। বাংলাদেশের মানুষ যার নাম দিয়েছিল বঙ্গ বাহাদুর। উদ্ধারের জন্য উভয় দেশের মানুষ চেষ্টা চালানোর ৫০ দিনের মাথায় বঙ্গ বাহাদুর মারা যায়। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস