সাইবার অপরাধ বাড়ছেই

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ১২:১০ পূর্বাহ্ণ

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জরুরি

সাইবার অপরাধ প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে সঙ্গে সাইবার জগতে মানুষের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। আর এটিকেই সুযোগ হিসেবে কাজে লাগাচ্ছে প্রতারক চক্র। সাইবার স্পেসে প্রারণার ফাঁদে পা দিয়ে দেশে সহজ-সরল মানুষের সর্বস্বান্ত হওয়ার নজির নতুন নয়। নিকট অতীতেও নানা উপায়ে প্রতারক চক্র সাধারণ মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়ে গেছে। নানা সময়ে এমন ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে আলোচিত হলেও কিছু মানুষ বারবার একই পথে হাঁটেন।

সম্প্রতি ফ্রিল্যান্সিং করে অনেক বেকার যুবক আত্মকর্মসংস্থানের পাশপাশি অন্যদের কর্মসংস্থানের নতুন নতুন দ্বার উন্মোচন করছেন। ফ্রিল্যান্সিং এখন সম্ভাবনাময় জায়গা। কর্মসংস্থানের উর্বর ক্ষেত্র। সম্প্রতি ফ্রিল্যান্সিংয়ের নামে ঘরে বসে মোটা অঙ্কের টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র তরুণ-তররুণীদের অর্থকড়ি হাতিয়ে নিচ্ছে।

জানা গেছে, এসব চক্র ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ আয়ের লোভনীয় অফার দেয়। এসব বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে যোগাযোগ করেন তরুণ-তরুণীরা। এরপর প্রতারক চক্র প্রথমে তাদের কাজের বিনিময়ে কিছু অর্থ পেমেন্টও করে। একপর্যায়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করে তারা তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ বাগিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এর পাশাপাশি অনলাইন জুয়ার মতো অপরাধগুলোও এখন বাড়ছে। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, টোপে পড়ে সর্বস্ব হারালেও লোকলজ্জা এবং বাড়তি ঝামেলার ভয়ে তাদের অনেকেই আইনি প্রতিকার চাইতে যান না। সবচেয়ে ভয়াবহ ব্যাপার হচ্ছে, প্রতারণার ক্ষত পোষাতে কেউ কেউ অন্যায় পথে পা বাড়াচ্ছেন। এমন প্রতারণার শিকার হয়ে ঘৃণ্য অপকর্মে জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই।

উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে, সাইবার স্পেসে অপরাধ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ না করায় পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রতারকের সংখ্যা। এটা সত্য, বর্তমান বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অগ্রগতির ধারায় বাংলাদেশও ৪র্থ শিল্প-বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে। যার মূলমন্ত্র প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধন। তবে প্রযুক্তির এই জ্ঞান ব্যবহার করে ওত পেতে থাকা অনলাইন-ভিত্তিক নানা অপরাধ চক্র প্রতারণার ফাঁদ বুনছে। এ ধরনের প্রতারকদের খপ্পর হতে বাঁচতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা জরুরি। পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে আইনি সহায়তার পথ আরও সুগম করতে হবে। প্রতারিতরা অভিযোগ জানাতে এসে যেন অহেতুক হয়রানির শিকার না হন, তা নিশ্চিত করতে হবে। দেশে সাইবার নিরাপত্তার জন্য কাজ করা সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আরও সক্রিয় হতে হবে।

Exit mobile version